26/11 terror attack: ২৬/১১-র দিনই নিকেশ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি, বানচাল নাশকতার ছক

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Nov 27, 2021 | 3:01 PM

terrorist eliminated: নিহত ৬২ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম, আরিফ মোহাম্মদ ওরফে হাজি আরিফ। জানা গিয়েছে তিনি পাকিস্তান সেনা বাহিনীর প্রাক্তন হাবিলদার ছিলেন।

26/11 terror attack: ২৬/১১-র দিনই নিকেশ মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি, বানচাল নাশকতার ছক
নিহত জঙ্গি হাজি আরিফ। ছবি: টুইটার

Follow Us

জম্মু: ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলাতে নিহতদের যখন স্মরণ করছে আসমুদ্রহিমাচল, তখনই জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেল ভারত। গতকাল, দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন জঙ্গিদের অন্যতম পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। জানা গিয়েছে, তিনি পাকিস্তানি সেনা বাহিনীকে ভারতে বেআইনি জঙ্গি অনুপ্রবেশে সাহায্য করতেন। সম্প্রতি ভিম্বর গালি সেক্টর দিয়ে জঙ্গিদের এদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি।

নিহত ৬২ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম, আরিফ মোহাম্মদ ওরফে হাজি আরিফ। জানা গিয়েছে তিনি পাকিস্তান সেনা বাহিনীর প্রাক্তন হাবিলদার ছিলেন। নিরপত্তা বাহিনী সূত্রের খবর, আরিফ মোহাম্মদ ওরফে হাজি আরিফকে ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার ১৩ তম বর্ষপূর্তিতে একই কায়দায় জঙ্গি হামলার লক্ষ্যে ‘স্পেশাল মিশনে’ তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ভিম্বর গালি সেক্টর দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা।

৯০-র দশক থেকেই ভারতে বেআইনিভাবে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সঙ্গে জড়িত এই হাজি আরিফ। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বালাকোট বিমান হামলার পর থেকে পাকিস্তান সেনা বাহিনী জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদকে ভারতে হামলা বিষয়ে চাপ দিতে থাকে। হাজি আরিফের মদতেই, দুটি জেহাদি সংগঠনের সদস্যদের ভারতে প্রবেশ করিয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা হয়। ভারতীয় সেনা আউটপোস্টকে লক্ষ্য করে আক্রমণ, এবং সেই আক্রমণ যত বেশি সম্ভব সেনা জওয়ানকে হত্যা করাই ছিল এই আক্রমণের লক্ষ্য। আরিফরে মৃত্যুর পর, তাদের ভারত বিরোধী যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

দীর্ঘ দুশক ধরে আরিফকে ধরা চেষ্টা চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। আরিফকে নিকেশ করার পর ভারতের সুরক্ষিত থাকার সম্ভাবনা কিছুটা বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী যখন আরিফের হদিশ পায় তখন তাঁরা আরিফকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। এরপরেই আরিফ জেহাদি দলটিকে পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের পরেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান আরিফ। সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

পিরপাঞ্জালের পাহাড়ি ভূখণ্ডের প্রকৃতির বিষয়ে অবগত ও সেখানে চলাফেরা কৌশলে পারদর্শী হওয়ার কারণে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, প্রতিনিয়তই পাকিস্তান থেকে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে আরিফের সাহায্য নিত। বর্তমানে তিনি লস্কর ই তৈবার কমান্ডার হিসেবে কাজ করছিলেন। ২০১৮ সালে নৌশের সেক্টের যে জঙ্গিরা আক্রমণ চালিয়েছিলেন, হাজি আরিফের সাহায্যেই তাঁরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেন বলেই জানা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন Mumbai Guideline for South Africa Arrivals: মুম্বইয়ে পা রাখলেই করা হবে জিনোম সিকোয়েন্সিং, নয়া ভ্যারিয়েন্ট রুখতে কড়া প্রশাসন

আরও পড়ুন  Congress Rally: ‘মূল্যবৃ্দ্ধি হঠাও’, নয়া দাবিতে আন্দোলনে কংগ্রেস, থাকবেন সনিয়া রাহুলও

Next Article