মুম্বই : মাস কয়েক আগেই রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিস্ফোরক। সেই ঘটনার সূত্র ধরে একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে। এবার ফের সেই আম্বানির বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হল নতুন আশঙ্কা। নিরাপত্তা বাড়ানো হল আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার (Antilia) সামনে। এক ট্যাক্সি চালকের ফোন থেকেই আতঙ্ক ছড়ায়। কারা নাকি আম্বানির বাড়ি খোঁজখবর নিচ্ছিল। তারপরই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
মুম্বই পুলিশের কাছে খবর এসেছে যে, আম্বানির বাড়ি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। খবর পেয়েই নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয় সোমবার বিকেলে। বাড়ির আশেপাশের সিসিটিভি (CCTV) ফুটোজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এক ট্যাক্সি চালকের কাছ থেকে ফোন করেছেন পুলিশকে। তিনি জানিয়েছেন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁর কাছে জানতে চান, মুকেশ আম্বানীর বাড়িটা ঠিক কোথায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তাদের কাছে যা খবর আছে, সেই অনুযায়ী, ওই দুই ব্যক্তির হাতে ছিল ব্যাগ। ওই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি পুলিশকে বিষয়টা জানায় ওই ট্যাক্সি চালক। এই ঘটনার পর ট্যাক্সি চালকের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
কয়েক মাস আগেই ভারতের তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি ও রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানির মুম্বইয়ের বাড়ির সামনে একটি বিস্ফোরক-বোঝাই গাড়ি উদ্ধার হয়। গাড়ির মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল জিলেটিন স্টিক। এরপর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হয়। ওই গাড়িটির মালিক হিসেবে যাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ওই ঘটনার কিছুদিন পরই সেই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায় সমুদ্রের একটি খাঁড়িতে। সেখান থেকেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ের নাম জড়ায় সেই ঘটনায়। এমনকি সেই সূত্র ধরেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মার্চ মাসে তৎকালীন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বদলে দায়িত্ব নেন হেমন্ত নাগরালে। এই ঘটনার পরই প্রাক্তন পুলিশকর্তা উদ্ধব ঠাকরেকে একটি ছয় পাতার চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি জানান, আম্বানিকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এবং এসিপি সঞ্জয় পাটিলকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন। এর জন্য মুম্বইয়ের ১৬০০ বার-রেস্তরাঁকেও চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : নোট বাতিলের পাঁচ বছর, বেশ কিছু পরিষেবাতে এখনও চালু নগদে লেনদেন, অনলাইন লেনদেনেও বিপুল বৃদ্ধি
সেই সূত্র ধরেই আর্থিক তছরূপকাণ্ডে ইডির সমনের মুখে পড়েন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আবার শপথ পাঠ নিয়ে জটিলতা! অধ্যক্ষ নন, উপাধ্যক্ষকে এবার দায়িত্ব দিলেন রাজ্যপাল