Maharashtra assembly elections: মহারাষ্ট্রে উদ্ধব, শরদের দলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন-জট কাটল?
Maharashtra assembly elections: আসন রফা নিয়ে মঙ্গলবার তিনদলের মধ্যে ৬ ঘণ্টার বেশি আলোচনা হয়েছিল। মধ্যরাত পর্যন্ত গড়িয়েছিল বৈঠক। বুধবার ফের শুরু হয় বৈঠক। কংগ্রেস ও উদ্ধবের শিবসেনার মধ্যে আসন-জট কাটাতে আসরে নামতে হয় স্বয়ং শরদ পাওয়ারকে।
মুম্বই: ভোটের আর একমাসও বাকি নেই। আসন রফা নিয়ে মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের তিন দলের মধ্যে কি কোনও জট কাটল? বুধবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পাওয়ারের এনসিপি নেতারা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন, আসন রফা নিয়ে জট কেটেছে। ২৮৮ বিধানসভা আসনের মধ্যে তিন দলই ৮৫টি করে আসনে লড়াই করবে। বাকি আসনগুলি ছোট জোটসঙ্গীদের দেওয়া হবে।
আসন রফা নিয়ে মঙ্গলবার তিনদলের মধ্যে ৬ ঘণ্টার বেশি আলোচনা হয়েছিল। মধ্যরাত পর্যন্ত গড়িয়েছিল বৈঠক। বুধবার ফের শুরু হয় বৈঠক। কংগ্রেস ও উদ্ধবের শিবসেনার মধ্যে আসন-জট কাটাতে আসরে নামতে হয় স্বয়ং শরদ পাওয়ারকে। তারপরই এদিন সন্ধ্যায় ৬৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে উদ্ধবের শিবসেনা। এবং তিন দলের নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা জানান, আসন-জট কেটেছে। জোটের প্রধান তিনটি দলই ৮৫টি করে আসনে লড়বে।
কত আসনে কোন দল লড়বে, তা নিয়ে তিন দলের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল। জানা যায়, উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনা ১০০টি আসনে লড়তে চেয়েছিল। কংগ্রেসকে ১০০টি আসন ছাড়তে রাজি হয় তারা। আর শরদ পাওয়ারের এনসিপিকে ৮৮টি আসন দিতে চেয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের ফলের ভিত্তিতে ১২৫টি আসন দাবি করে কংগ্রেস। কয়েকমাস আগে লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩০টি জিতেছিল মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। তার মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৩টি আসন। ফলে তারা ১২৫টি আসন দাবি করে।
এই খবরটিও পড়ুন
এখন তিনটি দলই ৮৫টি করে আসনে লড়লে বাকি থাকছে ৩৩টি আসন। সেই আসনগুলি মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের ছোট শরিকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। কয়েকটি আসন এই তিন বড় শরিকও পেতে পারে। বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে উদ্ধবের দলের নেতা সঞ্জয় রাউত ও প্রদেশ কংগ্রেস সভা নানা পাটোলে জানান, তিন দল ৮৫টি করে আসনে লড়তে রাজি হয়েছে। পরে উদ্ধবের শিবসেনার নেতা অনিল দেশাই বলেন, বাকি ৩৩টি আসন আলোচনার ভিত্তিতে ছোট শরিকদের দেওয়া হবে। কয়েকটি আসন থাকলে বড় তিন শরিকের মধ্যে ভাগ হবে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫টি আসন নিয়ে এখনও জট কাটেনি। নর্থ মহারাষ্ট্র, বিদর্ভ এবং মুম্বইয়ের ওই ১৫টি আসন নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। সে জন্যই ৩৩টি আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।