নয়া দিল্লি: খোলা বাজারে দাম হবে ১০০০ টাকা প্রতি ডোজ়। সেই একই প্রতিষেধকই ডোজ় প্রতি ২০০ টাকা করে ‘বিশেষ দামে’ ভারত সরকারের হাতে তুলে দেবে সেরাম ইনস্টিটিউট। সংবাদ মাধ্যমে একথাই জানিয়েছেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা। দেশে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা প্রতিষেধক তৈরি করছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute)।
রবিবারই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া অনুমোদন দিয়েছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনকে। তারপরই সেরাম কর্তা পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আগে ভারতে চাহিদা পূরণ করে তারপরই বিদেশে রফতানি করা হবে কোভিশিল্ড। সেরামের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ইতিমধ্যেই দেশের জন্য ৫ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ় তৈরি করে ফেলেছে তারা। আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ৮ দিনের মধ্যেই ভারত সরকারের হাতে সেই ডোজ় তুলে দিতে পারবে বলেও আশাবাদী তারা।
আপাতত ভারত সরকারকেই শুধুমাত্র কোভিশিল্ডের ডোজ় দেবে সেরাম। ভারত সরকারকে সেরাম প্রথম ১০ কোটি ডোজ় ২০০ টাকার ‘বিশেষ মূল্যে’ দেবে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভ্যাকসিন বিতরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের সঙ্গেও ৩০ থেকে ৪০ কোটি করোনা প্রতিষেধকের ডোজ় সরবরাহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে সেরাম। একথাও জানিয়েছেন পুনাওয়ালা।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে আশাবাদী কৃষকরা, সপ্তম দফা বৈঠক শুরু
সেরাম কর্তার কথায়, “আমরা সকলকে এখন ভ্যাকসিন দিতে পারব না। তবে প্রাধান্য দিতে পারব।” অর্থাৎ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আগে কোভিশিল্ডের করোনা টিকা পৌঁছে দিতে চাইছে সেরাম। কোভিশিল্ড নিয়ে সেরামের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশ, সৌদি আরব-সহ একাধিক দেশের। তবে সেরাম কর্তার বক্তব্যে একটা কথা স্পষ্ট, আগে ভারত তারপরেই অন্য দেশে প্রতিষেধক রফতানি করবেন তাঁরা।