নয়া দিল্লি: দেশে নতুন ডিজিটাল আইন (Digital Law) কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। তাই অবিলম্বে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির উত্তর জানতে মরিয়া কেন্দ্র। সেই মর্মে ফের ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের কাছে নয়া ডিজিটাল আইনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য চাইল কেন্দ্র। চিঠি দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ- টুইটারকে উত্তর দিতে হবে অবিলম্বে, পারলে আজকেই।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-সহ সমস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিকেও একটি ছাতার তলায় একপ্রকার নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্র। মন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রত্যেক সংস্থাকে তাদের ভারতে থাকা দফতরের ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের নম্বর দিতে হবে। ভারতে থাকা কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের নিয়োগ করতে হবে, যে কোনও অভিযোগের সমাধান করতে হবে, আপত্তিকর কন্টেন্টের উপর সর্বদা নজরদারি চালাতে হবে, কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা করতে হবে এবং আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলতে হবে।
কেন্দ্রের কাছে তথ্য জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল ২৫ মে। ফেসবুক ওই দিন জানিয়েছিল, তারা কেন্দ্রের নিয়ম মেনে চলার পক্ষে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ এই নীতির বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্র যে নিয়ম জারি করার কথা বলছে, তাতে প্রেরকের গোপনীয়তা বজায় থাকবে না। দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, গোপনীয়তা বজায় রাখতে মরিয়া তাঁরা। বার্তা প্রেরকের যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা শুধুমাত্র যুক্তিসঙ্গত বিশেষ ক্ষেত্রে। তখনই কেন্দ্র প্রেরকের গোপনীয় তথ্য চাইবে। কোনও মানবাধিকার এখানে বিঘ্নিত হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। কেন্দ্র জানিয়েছে, শুধুমাত্র তদন্তের স্বার্থেই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে প্রেরকের তথ্য জানতে চাইবে কেন্দ্র। ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন, জনস্বাস্থ্যের মতো বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতেই কেন্দ্র ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ ভাঙবে।
আরও পড়ুন: ‘গোপনীয়তা’ বজায় রাখতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ, পাল্টা সরকারের