‘গোপনীয়তা’ বজায় রাখতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ, পাল্টা সরকারের

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, গোপনীয়তা বজায় রাখতে মরিয়া তাঁরা।

'গোপনীয়তা' বজায় রাখতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ, পাল্টা সরকারের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 26, 2021 | 7:51 PM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্র নয়া নির্দেশিকা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp), ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকে এক ছাদের তলায় আনতে চেয়েছিল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারির নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানিয়েছিল, সোশ্যাল মিডয়াগুলিকে নিজেদের তথ্য সরকারকে দিতে হবে। সেই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হাইকোর্টে গিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এ বার তার পাল্টা দিল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, গোপনীয়তা বজায় রাখতে মরিয়া তাঁরা। বার্তা প্রেরকের যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা শুধুমাত্র যুক্তিসঙ্গত বিশেষ ক্ষেত্রে। তখনই কেন্দ্র প্রেরকের গোপনীয় তথ্য চাইবে। কোনও মানবাধিকার এখানে বিঘ্নিত হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। কেন্দ্র জানিয়েছে, শুধুমাত্র তদন্তের স্বার্থেই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে প্রেরকের তথ্য জানতে চাইবে কেন্দ্র। ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন, জনস্বাস্থ্যের মতো বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতেই কেন্দ্র ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ ভাঙবে।

দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকা ভারতীয় সংবিধানেরই বিরুদ্ধে, কারণ এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে কেন্দ্র চাইলেই কোনও তথ্যের সৃষ্টিকারী বা প্রথম প্রেরককে খুঁজে বের করতে হবে, যা হোয়াটসঅ্যাপের ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন নীতি'(End to End Encryption Policy)-র সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করেও বলা হয়, “সুপ্রিম কোর্টের তরফেও ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। আইনী বা অন্যান্য অতি গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রয়োজন ছাড়া যেন গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ না করা হয়।”

আরও পড়ুন: সেরে উঠেছিলেন ট্রাম্প, দেশে প্রথম প্রয়োগ সেই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ অ্যান্টিবডি ককটেলের