Shatrughan Sinha: ‘কোনও মহিলা নয় কেন?’ ২০২৪-এর প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নে সোজা-সাপটা জবাব শত্রুঘ্নের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 14, 2023 | 11:52 PM

Shatrughan Sinha: আমাদের আধুনিক চাণক্য, শরদ পওয়ার এবং অবশ্যই, আমাদের আগুনে গণনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। উল্টোদিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কেউ নেই। বললেন শত্রুঘ্ন।

Shatrughan Sinha: কোনও মহিলা নয় কেন? ২০২৪-এর প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নে সোজা-সাপটা জবাব শত্রুঘ্নের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহা (ফাইল ছবি)
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বেছে নিলেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সোমবার (১৪ অগস্ট), তিনি জানিয়েছেন, দেশের এখ একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন। মহিলা রাষ্ট্রপতি এবং একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী থাকাটা দেশের পক্ষে খুব ভাল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলার ‘আগুনে’ নেত্রী ছাড়া আর কারও কথা ভাবতেই নারাজ তিনি। তিনি কি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে দেখেন, প্রশ্ন করা হয়েছিল আসানসোলের তৃণমূল সাংসদকে। তারই জবাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

শত্রুঘ্ন বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রপতি একজন মহিলা। প্রধানমন্ত্রীও একজন মহিলা হলে, এটা দেশের জন্য খুব ভাল হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন আগুনে নেত্রী, যার গণভিত্তির কোনও অভাব নেই, তিনিই এই পদের জন্য সবথেকে মানানসই।” তবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সেটা উপযুক্ত সময়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিরোধী দলের ইন্ডিয়া জোটে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। তিনি বলেন, “আমাদের যুব আইকন রাহুল গান্ধী আছেন। তাঁকে গোটা দেশ আমাদের ভবিষ্যত বলে মানে। আমাদের আধুনিক চাণক্য, শরদ পওয়ার এবং অবশ্যই, আমাদের আগুনে গণনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। উল্টোদিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি বারবার বলেন, তিনি একজন ফকির। ঝোলা উঠিয়ে চলে যেতে পারেন। তিনি যদি সত্যিই তা করেন, তাহলে বিজেপির শো কীভাবে চলবে? বিজেপির নিজেদের নিয়েই চিন্তা করা উচিত।”

দীর্ঘদিন বিজেপির সাংসদ ছিলেন শত্রুঘ্ন। চার বছর আগে তিনি বিজেপি ছাড়েন। তারপর অল্প সময়ের জন্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী শিবিরে প্রধানমন্ত্রী যে লড়াই ছুড়ে দিয়েছেন, তারও পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেছেন, “এনডিএ-র এক প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি বাজি ধরে বলতে পারি, স্বজনপ্রীতির ক্ষেত্রে বিজেপি এবং তার শরিকরা পিছিয়ে নেই। দুর্নীতির বিষয়ে তাদের অবস্থানও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের সঙ্গেই জোট করেছে তারা।”

Next Article