নয়াদিল্লি: কালকা থেকে শিমলার মধ্যে রেল পরিষেবা চালু হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। প্রায় ১২০ বছর আগে চালু হয় ওই রেল পরিষেবা। ১২০ বছর ধরে টয় ট্রেন পরিষেবা চালু ছিল সেখানে। বহু পুরনো সেই ট্রেন সময়ের ভারে হয়েছিল জরাজীর্ণ। কিন্তু পর্যটকদের কাছে ওই রেলপথ এখনও খুব জনপ্রিয়। পর্যটনের কথা ভেবে নতুন ভেবে ওই রেল পরিষেবাকে নতুন করে সাজিয়ে তুলছে ভারতীয় রেল। মঙ্গলবার ভারতীয় রেলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পুরনো টয় ট্রেনের বদলে নতুন ভিস্তাডোম কোচ চালু করা হবে কালকা থেকে শিমলার মধ্যে। বাতানুকুল সেই কোচে চড়ে যাওয়ার সময় বাইকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। পর্যটকরদের কাছেও আকর্ষণীয় হবে সেই রেলযাত্রা। সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নিল রেল।
কালকা-শিমলা রেলপথ ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে। এই রেলপথে এত দিন যে ট্রেন ব্যবহৃত হত তা তৈরি করা হয়েছিল মোগলপুরা ওয়ার্কশপে। প্রায় ১০০ বছর আগে। সে গুলিকে বাতিল করে নতুন ভিস্তাডোম কোচ চালু হচ্ছে। পঞ্জাবের কাপুথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে এই নতুন কোচ তৈরি করা হয়েছে। ৯৬.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ কালকা-শিমলা রেলপথ ন্যারোগেজ। অর্থাৎ ছোটলাইন। ১৯০৩ সালের নভেম্বরে তা চালু হয়েছিল। কালকা-দিল্লি রেললাইন চালুর ১২ বছর পর এটি চালু হয়েছিল।
Unleash your Himalayan Wanderlust!
Get a sneak peek of the upcoming coaches for the Kalka-Shimla UNESCO heritage Railway line designed by @KapurthalaRcf to elevate your experience. Promising luxurious seating, mesmerising glass windows and other modern amenities. pic.twitter.com/9gTIPmlMpt
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) May 30, 2023
এই রেললাইনে ভিস্তাডোম কোচ চালু হওয়ায় ট্রেনে বসে পাহাড়ি উপত্যকার সৌন্দর্য আরও ভাল করে উপভোগ করতে পারবেন। নতুন ট্রেনে প্রতিটিতে ৪টি কামরা থাকবে। একটি ইঞ্জিন, একটি পাওয়ার কাম লাগেজ ভ্যান, একটি এসি এক্সিকিউটিভ কার যাতে থাকবে ১২টি আসন, একটি এসি চেয়ার কার যাতে থাকবে ৩০টি আসন এবং একটি নন এসি চেয়ার কার যাতে থাকবে ৩০টি আসন। রেল কোচ ফ্যাক্টরিকে এই রেলপথের জন্য মোট ৩০টি ভিস্তোডোম কোচ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে রেল।