ইম্ফল: প্রত্যেকের দরজায় দরজায় ঘুরলেন, কথা বললেন গ্রামের মহিলা-শিশুদের সঙ্গেও। মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। বিগত এক মাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। সংরক্ষণ নিয়ে মেতেই ও কুকি জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রায় গোটা রাজ্যেই অশান্তি ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই তিনদিনের সফরে মণিপুর গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার তিনি মণিপুরের বিভিন্ন অঞ্চল, যেখানে হিংসা ছড়িয়েছে, সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা জানতে চান। শীঘ্রই গোটা রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সোমবার রাতেই হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার দিনভর মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে সেনা, প্রশানসিক আধিকারিক, এমনকী মণিপুরের বিভিন্ন জনজাতির সঙ্গেও বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরে বুধবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বের হন। প্রথমেই তিনি যান মোরেহ জেলায়। সেখানে কুকি জনজাতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। এরপরে দুপুরে কাঙ্কপোকপিতেও যান। সেখানে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া কুকি ও মেতেই জনজাতির ঘরছাড়া পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
Convened a meeting with civil society organisations in Kangpokpi, Manipur. They are keen to actively participate with the government in reviving harmony among communities in Manipur. pic.twitter.com/1Tv9wO02xZ
— Amit Shah (@AmitShah) May 31, 2023
ত্রাণ শিবিরে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “রাজ্যে হিংসার কারণে যারা ঘরছাড়া হয়েছেন, তাদের দ্রুত নিজেদের ভিটেতে ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”। টুইট করেও তিনি জানান, রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে সকলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরের মাঝেও বুধবার ফের অশান্তি শুরু হয়। কুকি-হামার-জ়োমি ও মিজ়ো জনজাতির নাগরিকরা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফা ও রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং গতকালও ফের একবার সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে লুঠ করা অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান। যদি কারোর কাছে বিনা লাইসেন্সের বা বেআইনি কোনও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই তিনি জানান। ত্রাণ পৌঁছতে ও সেনাবাহিনীর স্বাধীন গতিবিধির জন্য যাতে কোনও রাস্তা যাতে আটকানো না হয়, তা নিয়েও রাজ্য সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছে।