মুম্বই: টালমাটাল মহারাষ্ট্র সরকারের অবস্থা। শক্তি বাড়ছে শিন্ডে শিবিরের। মুখ্য়মন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়িয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সরকারের ভবিষ্যৎ যখন অনিশ্চয়তার মুখে, সেই সময়ই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শিবসেনা সাংসদ। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ফল ভাল হবে না, আগেই তা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। রবিবার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের জন্য় দুঃখও প্রকাশ করলেন তিনি। বললেন, “ওনাদের (বিক্ষুব্ধ বিধায়ক) অন্তরাত্মা আর জীবিত নেই। শুধু তাঁদের দেহই মুম্বইয়ে ফিরবে।”
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা বিধায়কদের কটাক্ষ করে সঞ্জয় রাউত বলেন, “যে ৪০ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক গুয়াহাটিতে বসে রয়েছেন, তাঁরা আর জীবিত নন। তাঁদের দেহগুলিই শুধু ফিরে আসবে মুম্বইয়ে, অন্তরাত্মা তো মারা গিয়েছে। যখন তাঁরা গুয়াহাটির বাইরে পা রাখবেন, তখন মন থেকে আর বেঁচে থাকবেন না। ওনারা খুব ভালভাবেই জানেন যে আগুন জ্বালিয়েছেন, তা থেকে কী হতে পারে।”
বিধায়কদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “ওই আত্মাহীন দেহগুলি অসম থেকে আসবে আর তা সরাসরি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য”। পথে নেমে শিবসেনা সমর্থকরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সে বিষয়ে সঞ্জয় রাউত বলেন, “এটা শিব সৈনিকদের রাগের বহিঃপ্রকাশ। যে আগুন জ্বালানো হয়েছে, তা এত সহজে নিভবে না। শিবসেনা শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন না উদ্ধব ঠাকরে।”
এর আগেও শিবসেনা সাংসদ বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন,”গুয়াহাটি থেকে মুম্বইয়ে ফিরলে বিধায়করা বুঝতে পারবেন আসল বিদ্রোহ কাকে বলে।”
এদিকে, বিক্ষোভের আঁচ বাড়তেই নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। অশান্তি রুখতে মুম্বইয়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অন্যদিকে, ১৫ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে কেন্দ্রের তরফে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়ার পরই তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিও। করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার পরই বিদ্রোহী বিধায়কদের জন্য নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে বলেন। মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার ও রাজ্যের ডিজিপিকে এই মর্মে একটি চিঠি লিখেছেন বলেও জানা গিয়েছে।