মুম্বই: পত্র চউল মামলায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন না শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। চার মাস জেলবন্দি থাকার পর বুধবারই তিনি জামিন পান। মুম্বইয়ের আর্থার রোডের জেল থেকে বেরিয়েই তিনি ফোন করলেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray)। দীর্ঘ চার মাস পরে দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে আবেগঘন হয়ে পড়লেন দুই নেতাই। সঞ্জয় রাউত বলেন, “উদ্ধব ঠাকরে আমার গলা শুনেই আবেগঘন হয়ে পড়েন। তাঁর চোখে জল এসে যায়, আমারও চোখে জল এসে যায়।”
পত্র চউল মামলায় মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগেই গত ৩১ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল শিবসেনা নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে। তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু গতকাল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের তরফে এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে জানানো হয় আদালতের তরফে।
মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে বেরিয়েই সঞ্জয় রাউত প্রথমেই ফোন করেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরেকে। তিনি বলেন, “যখন আমি উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করি, তখন উনি আমার গলা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ওনার চোখে জল চলে আসে। আমারও চোখে জল এসে যায়।”
নিজেকে উদ্ধব ঠাকরের বিশ্বস্ত বলে দাবি করে সঞ্জয় রাউত বলেন, “আমি বালাসাহেব ঠাকরের অনুগামী। আমি কখনও দল ছাড়ব না। আজ আপনারা রাস্তায় যা দেখছেন, তা বালাসাহেবের ম্যাজিক। আমি শিব সৈনিক এবং জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি তাই-ই থাকব।”
৯০ দিন জেলবন্দি থাকার পর বুধবার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই সঞ্জয় রাউত বলেন, “বিচারব্যবস্থার উপর আমার বিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে আমায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রথম থেকেই আমি এই কথা বলেছি। গোটা ঘটনাটাইঈ আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ছিল।”
বুধবার জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার আগেই আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন সঞ্জয় রাউতের পরিবারের সদস্যরা। সঞ্জয় রাউত জামিন পাওয়ার পরই তাঁর ভাই সুনীল রাউত বলেন, “আমরা এই বছর দিওয়ালি উদযাপন করিনি। কিন্তু আজ একসঙ্গে দিওয়ালি ও হোলি উদযাপন করার কারণ পেলাম। যারা ভেবেছিলেন ওকে (সঞ্জয় রাউত) জেলে পাঠালে, দুর্বল করে দেওয়া যাবে, তাদের জানা উচিত যে এবার ও আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।”
জেলের বাইরেই বাজি-পটকা ফাটিয়ে রাউতের মুক্তি উদযাপন করেন শিবসেনা সমর্থকরা। বাড়ির পথে রওনা দেওয়ার আগে সঞ্জয় রাউত বলেন, “শুধু আমার মা নয়, গোটা রাজ্য আমার মুক্তির অপেক্ষা করছিল। আবার রাজনৈতিক লড়াই শুরু হবে।”