মুম্বই: বাইরে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে, “ভাজপা প্রদেশ কার্যালয়” (BJP State Headquarter), অথচ আদতে এটি ইডির কার্যালয় (ED Office)। আচমকা এই ভোলবদলের পিছনের কারিগর শিবসেনা (Shiv Sena)। দলীয় নেতা সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী বর্ষা রাউত (Varsha Raut)-কে আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় ডেকে পাঠানোর পরই প্রতিবাদে মুম্বইয়ের ইডি দফতরে বিজেপির কার্যালয় লেখা পোস্টার ঝুলিয়ে দেয় শিবসেনা কর্মীরা। এই নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধে ইডি অফিসের বাইরে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে মুম্বই পুলিস।
পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের আর্থিক নয়ছয় মামলার ((PMC Bank money laundering case) তদন্তে বর্ষা রাউতকে এই নিয়ে মোট তিনবার সমন পাঠাল ইডি (ED)। হাজিরার নোটিশ হাতে পাওয়ার পরই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটে লেখেন, “আ দেখে জারা, কিসমে কিতনা হ্যায় দম”।
— Sanjay Raut (@rautsanjay61) December 27, 2020
শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)-র সঙ্গে দেখা করার পর তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “পরিবারের মহিলাদের আক্রমণ করা কাপুরুষতা। আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমরা ইডির নির্দেশের জবাব দেব। তারা কিছু কাগজপত্র চেয়েছিল এবং আমরা তা সময়মতো জমাও দিয়েছি।”
Targetting women of a household is an act of cowardice. We are not scared of anyone and will respond accordingly. ED needed some papers and we have submitted them in time: Shiv Sena MP Sanjay Raut https://t.co/HmYP2Fua9Y
— ANI (@ANI) December 28, 2020
আরও পড়ুন: ‘নিজেদের স্বৈরাচারী ভাবলে,এমন জোটসঙ্গীর প্রয়োজন নেই’, বিজেপিকে কড়া বার্তা তামিলনাড়ুর শাসক দলের
দলের অন্যান্য নেতাদেরও ইডির নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “গত এক বছরে শরদ পাওয়ার, একনাথ খাড়সে ও প্রতাপ সরনাইককেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এখন আমার নাম আলোচনা করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকার গঠনের পিছনে এদের সকলেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলি কেবল এক টুকরো কাগজ, আর কিছুই নয়।”
মহারাষ্ট্রের রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)-ও সমন পাঠানোর বিষয়ে বলেন, “যাঁরাই বিজেপির কোনও নেতা বা নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছে, তাঁদেরকেই ইডি বা সিবিআই (CBI)-র মুখে পড়তে হচ্ছে। সিবিআইয়ের ক্ষেত্রে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মহারাষ্ট্রে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া ওই তদন্তকারী সংস্থা কোনও তদন্ত শুরু করতে পারবে না। ইডির তদন্তভারের অনুমতি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেই ক্ষমতা ব্যবহার করার ঘটনা আগে কখনও দেখেনি মহারাষ্ট্র।”
রবিবার শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray)-ও ইডির পাঠানো সমনের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “ইডির এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তবে আমরা ভয় পাই না। আমাদের মহা বিকাশ আগাড়ি দল শক্তিশালীই রয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘সরকারের কৃষকদের কথা শুনে আইন প্রত্যাহার করা উচিত’ দাবি প্রিয়ঙ্কার