নয়া দিল্লি: দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার পতনের পর আগামিকাল বেআইনি আর্থিক লেনেদেন মামলায় ইডির কাছে হাজিরা দিতে উপস্থিত হবেন সাংসদ তথা শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। শিবসেনা নেতা জানিয়েছেন, শুক্রবার তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন। তিনি বলেন, “আমি আগামিকাল ইডি অফিসে যাব।” মহারাষ্ট্রের এই চউল (বস্তি) তৈরির কাজে আর্থিক লেনদেন মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্ত নেমে ইডি গোয়েন্দারা শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের ঘনিষ্ঠ সহকারী প্রবীণ রাউতকে অভিযুক্ত করেছিলেন। ২০০২ সালে পত্র চউল তৈরির কাজে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। ৬৭২টি বাড়ি তৈরির পর যে জমিটুকু ফাঁকা পড়ে থাকবে, তা বিক্রি করা যাবে। তবে যে সংস্থাকে নির্মাণের বরাদ দেওয়া হয়েছিল, তারা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে ৯০১.৭৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এই মামলার তদন্তভার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গিয়েছিল মোট ১০৩৪ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ।
মহারাষ্ট্রের আর্থিক সংকটের মাঝেই এই বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় সঞ্জয় রাউতকে তলব করেছিল ইডি গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঞ্জয় জানিয়ে দিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে কদিন সময় দেওয়া হোক। শিবসেনা সাংসদের আবেদন মেনে জেরা করার জন্য নতুন দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছিল ইডি। প্রসঙ্গত, এর আগেওই সঞ্জয় রাউতের স্ত্রীকে তলব করেছিল তদন্তকারী সংস্থা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই সাংসদ পত্নীর ১১ কোটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিল। সঞ্জয়ের স্ত্রীয়ের আলিবাগের ৮টি জমি এবং মুম্বইয়েক একটি ফ্ল্যাটও বাজেয়াপ্ত করেছিল গোয়েন্দারা। পত্র চউল কেলেঙ্কারি মামলায় ইতিমধ্যেই শিবসেনা সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রবীণ রাউতকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, চউলের জমি দখল নেওয়ার জন্য নানাবিধ অপরাধও সংগঠিত করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগের পর চাপে রয়েছে শিবসেনা শিবির, তারমধ্য়েই দলের অন্যতম পরিচিত মুখের ইডি হাজিরা নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে।