ইউপিএ চেয়ারপার্সেনের ‘যোগ্য দাবিদার’ হলেও পাওয়ারে সমর্থন নেই সেনার

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Dec 27, 2020 | 12:30 AM

ইউপিএ-কে শক্তিশালী করার দাবিতে তারা অনড় রইলেও এনসিপি প্রধানকে চেয়ারপার্সনের পদে সমর্থন করার জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইউপিএ চেয়ারপার্সেনের ‘যোগ্য দাবিদার’ হলেও পাওয়ারে সমর্থন নেই সেনার
ইউপিএ চেয়ারপার্সেনের ‘যোগ্য দাবিদার’ হলেও পাওয়ারে সমর্থন নেই সেনার

Follow Us

মুম্বই: জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে সমতা ফেরাতে শরদ পাওয়ারকেই (Sharad Pawar) ইউপিএ (UPA)-র ‘যোগ্য নেতা’ হিসেবে তুলে ধরেছিল শিবসেনা (Shiv Sena)। দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে উদ্ধব-সঞ্জয়দের এমন মনোবাসনার কথা লেখাও হয়েছিল। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এল তারা। ইউপিএ-কে শক্তিশালী করার দাবিতে তারা অনড় রইলেও এনসিপি প্রধানকে চেয়ারপার্সনের পদে সমর্থন করার জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

সেনার রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এদিন পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা একবারও বলিনি শরদ পাওয়ারকে ইউপিএ চেয়ারপার্সন করা হোক।” যদিও শনিবারের ‘সামনা’য় বিজেপির ক্ষমতার আস্ফালন ও বিরোধীদের শোচনীয় অবস্থার জন্য ‘একতার অভাবকে’ কাঠগড়ায় তুলেছিল শিবসেনা। সংশ্লিষ্ট সম্পাদকীয়তে রাজনীতিক শরদ পাওয়ারের ঢালাও প্রশংসা করা হয়। একই সঙ্গে কংগ্রেসে সুষ্ঠু দল পরিচালনার অভাব রয়েছে বলেও লেখা হয়। এনসিপি-র বরিষ্ঠ নেতাকে চেয়ারপার্সন করার দাবি তোলা হয়নি ঠিকই। তবে বাকিদের তুলনায় তিনি শাসকদলের কাছেও কতটা গ্রহণযোগ্য, তা উল্লেখ করা হয়েছিল।

সেই প্রসঙ্গেই এদিন সামনার সম্পাদক সঞ্জয় বলেছেন, “সম্পাদকীয়র মাধ্যমে এটাই বলতে চাওয়া হয়েছিল যে, শরদ পাওয়ারই একমাত্র এমন নেতা যাঁকে বিজেপি-সহ বাকি বিরোধীরাও গুরুত্ব দেয়। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ওঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন। বাংলায় বিধানসভা ভোটে বিজেপি বিরুদ্ধে লড়ার আগে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন। ফলে বিস্তৃত গ্রহণযোগ্যতার দৌলতে এখন ওনাকেই সবচেয়ে উপযুক্ত নেতা বলে মনে হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: এনডিএ-তে ফের ভাঙন, সৌজন্যে কৃষক আন্দোলন

এনসিপি সুপ্রিমোর ঢালাও প্রশংসা করেই কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে ফের হতাশার কথাই জানান দিয়েছেন এই শিবসেনা নেতা। লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে বিহার বিধানসভা, কংগ্রেসের ব্যর্থতা যে আর ঢেকে রাখা যাচ্ছে না, সেটা রাখঢাক না করেই বলেছেন রাউত। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার জোটসঙ্গী কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে নিয়ে তাঁর সাবধানী মন্তব্য, “ওনার চেষ্টা প্রশংসনীয় ঠিকই। কিন্তু কিছু একটা খামতি রয়েই যাচ্ছে। কৃষক আন্দোলনের মতো একটি ব্যাপক ইস্যু নিয়েও ইউরপিএ যে ধরনের ভূমিকা নিয়েছে, তাতে একে বিরোধী জোট না নয়, বরং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বলে মনে হয়েছে”, খোঁচার সুরে বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: চিঠি দিয়ে রাজীব কুমারের আগাম জামিন খারিজের আর্জি সিবিআই-এর

Next Article