নয়া দিল্লি: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) – চলতি বছরের শেষ থেকেই শুরু হবে প্রচার। সূত্রের খবর, এই প্রচারে বিপুল জনমত তৈরি করতে অন্তত ২৫টি ওয়েবিনারের আয়োজন করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। ওয়েবিনারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা তো থাকবেনই, একই সঙ্গে ডিজিটাল সেমিনারে সামিল করানো হবে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে আইনজ্ঞ মহলের বিশিষ্টদেরও।
২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) দেশের সমস্ত নির্বাচন একসঙ্গে করানোর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন। তাঁর যুক্তি, ভারত কয়েক মাস অন্তর অন্তরই কোথাও না কোথাও ভোটের সম্মুখাীন হয়। মাসের ফারাকে এই লাগাতার নির্বাচন প্রক্রিয়ার কারণে শ্লথ হয়ে যায় উন্নতির চাকা। নির্বাচনের কারণে অনেক কাজই আটকে যায়। এই ‘স্থিতাবস্থা’ কাটাতে লোকসভা, বিধানসভা, এমনকি জেলা ও আঞ্চলিক স্তরের নির্বাচনও একসঙ্গে চান তিনি। অতিসম্প্রতি অল ইন্ডিয়া প্রিসাইডিং অফিসার্স-এর ৮০তম কনফারেন্সও ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রাী নরেন্দ্র মোদীকে।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম অনুমোদিত করোনা টিকা হতে পারে ‘অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন’
তিনি বলেন, “কয়েক মাস অন্তর অন্তর কোথাও না কোথাও নির্বাচন লেগেই রয়েছে। এর ফলে উন্নয়নের কাজে বাধা আসে, এই অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই রয়েছে। সে কারণে আমাদের এই বিষয়ে দীর্ঘ চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন এবং ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-কে কার্যকর করা উচিত।”
অতীতে বিচারপতি বিএস চৌহানের নেতৃত্বাধীন আইন কমিশনও লোকসভা ও রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করানোর কথা বলে। যুক্তি ছিল, আলাদা আলাদাভাবে নির্বাচন করার ফলে অনেক টাকা খরচ হয়। একসঙ্গে ভোট হলে সেই ব্যয়ে হ্রাস টানা যাবে। ওই খসড়া আইন মন্ত্রকের কাছে পাঠানোও হয়। তবে ভারতের পরিকাঠামোগত জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। খসড়ায় বিষয়টিকে সংবিধান ও নির্বাচনী আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথাও বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিজেপি ছাড়লেন প্রাক্তন সাংসদ
কেন্দ্রের সরকারের ‘থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক’ নীতি আয়োগেরও একই পরামর্শ। ২০২৪ সালে কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের ভোট একসঙ্গে করানো হলে সরকারি কাজে বাধা কম আসবে। তার জন্য ন্যূনতম প্রচার প্রক্রিয়ার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রসঙ্গত এই বিষয়ে ২১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জ্ঞানগর্ভ আলোচনাও সেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।