ভারতের প্রথম অনুমোদিত করোনা টিকা হতে পারে ‘অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন’
কোভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল এখনও সম্পূর্ণ না হওয়ায় এবং নিয়ামক সংস্থার সামনে ফাইজ়ার ভ্যাকসিন কোনও উপস্থাপনা জমা না দিতে পারায় দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউটের ভ্যাকসিনই।
নয়া দিল্লি: প্রস্তুতি প্রায় শেষ, অপেক্ষা কেবল ছাড়পত্রের। তিন ভ্যাকসিনের দৌড়ে আপাতত এগিয়ে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনই (Oxford COVID-19 Vaccine), আগামী সপ্তাহেই মিলতে পারে অনুমোদন, এমনটাই দাবি আধিকারিকদের।
অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিতে ব্রিটেনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ভারত। সেখানের ওষুধ নিয়ামক সংস্থা সম্মতি দিলেই ভারতে বৈঠকে বসবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (Central Drugs Standard Control Organisation) বৈঠকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই করোনা টিকার সুরক্ষা ও অন্যান্য দিকগুলির যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনা করার পরই জরুরী ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India) তাঁদের ‘কোভিশিল্ড’ (Covishield) নামক করোনা টিকাটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University) ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca) নামক আরেকটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে। তৃতীয় দফার ট্রায়াল সম্পূর্ণ করার পরই চলতি মাসের শুরুতে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছিল এই সংস্থা।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রকে ফের সুযোগ, ২৯ ডিসেম্বর বৈঠকে বসতে রাজি কৃষকরা
কোভিশিল্ডের সঙ্গেই ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’ (Covaxin) ও ফাইজ়ার (Pfizer) নামক ভ্যাকসিনও ছাড়পত্রের আবেদন জানায়। ৯ ডিসেম্বর ভ্যাকসিনের ছাড়পত্রের জন্য তিনটি সংস্থাই আবেদন করলেও সিডিএসসিও (CDCSCO) সিরাম ইন্সটিটিউট ও ভারত বায়োটেককে তাঁদের সংশিষ্ট ভ্যাকসিনগুলির জন্য অতিরিক্ত কিছু তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ফাইজ়ার কমিটির সামনে কোনও উপস্থাপনা জমা দিতে না পারায় তাঁদের ছাড়পত্রের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।
বর্তমানে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল এখনও সম্পূর্ণ না হওয়ায় এবং নিয়ামক সংস্থার সামনে ফাইজ়ার ভ্যাকসিন কোনও উপস্থাপনা জমা না দিতে পারায় দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউটের ভ্যাকসিনই। ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (Drug Controller general of India) যে অতিরিক্ত তথ্যগুলি চেয়েছিল, সেগুলিও ইতিমধ্যে জমা করেছে সিরাম ইন্সটিটিউট। ফলে নতুন বছরের শুরুতে করোনা টিকার প্রথম ছাড়পত্র ও জরুরীভিত্তিক সম্মতি পেতে পারে কোভিশিল্ড-ই। তাঁদের কাছে তৈরি রয়েছে চার কোটি করোনা টিকা।
আরও পড়ুন: বিজেপি ছাড়লেন প্রাক্তন সাংসদ