কেন্দ্রকে ফের সুযোগ, ২৯ ডিসেম্বর বৈঠকে বসতে রাজি কৃষকরা
বেলা তিনটের একটু পর ৪০টি কৃষক সংগঠনের প্রধানরা আলোচনায় বসেন। সেখানেই তাঁরা ষষ্ঠ দফার বৈঠকের দিন ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জানান, কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে রাখতে হবে।
নয়া দিল্লি: বছর শেষের আগে আরেকবার সরকারকে সুযোগ দিল দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকরা। শনিবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর তাঁরা জানান, আগামী মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কৃষক সংগঠনগুলি (Farmer’s Union)। রবিবার কেন্দ্রের তরফে একটি চিঠি পাঠিয়ে কৃষকদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, দিনক্ষণ স্থির করার দায়িত্বও ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের উপরই। এরপরই আজ ফের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সংগঠনের প্রধানরা।
আজ দুপুর দুটো থেকে সিঙ্ঘু সীমান্তে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও বেলা তিনটের একটু পর ৪০টি কৃষক সংগঠনের প্রধানরা আলোচনায় বসেন। সেখানেই তাঁরা ষষ্ঠ দফার বৈঠকের দিন ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জানান, কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার ও নূন্যতম সহায়ক মূল্য বজায় রাখার বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে রাখতে হবে।
We propose to hold another round of talks with the Centre at 11 am on 29th December: Yogendra Yadav, Swaraj India#FarmLaws pic.twitter.com/BEAG9pkzP3
— ANI (@ANI) December 26, 2020
আরও পড়ুন: ‘চলে যান, না হলে পুঁতে দেব’, হুমকি মুখ্যমন্ত্রীর
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে নূন্যতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price) ও জমির অধিকার নিয়ে আশ্বস্ত করেন। একইসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন, “দেশের বহু কৃষকরাই নয়া কৃষি আইনে সমর্থন জানিয়েছেন। বিরোধীরাই নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য কৃষকদের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালাচ্ছে।”
৩১ তম দিনে কৃষক আন্দোলন প্রবেশ করলেও প্রতিবাদের রেশ কমেনি একটুও। আজ পঞ্জাব থেকে আরও কৃষক রেশন ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ট্রাক্টর ও বিভিন্ন গাড়িতে চেপে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন রাজস্থানের শিক্ষক সংঘও। তাঁদের একদল প্রতিনিধি জানান, “এই আইন মধ্যবিত্তদের প্রভাবিত করবে। আমাদের সংগঠন ইতিমধ্যেই রাজস্থানে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছে।”
অন্যদিকে, পঞ্জাবের প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপি নেতা হরিন্দর সিং খালসা (Harinder Singh Khalsa)-ও কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest) সমর্থন জানিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি জানান, আন্দোলনকারী কৃষক ও তাঁদের পরিবারের প্রতি দলীয় নেতারা ও সরকার যে অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছে, তার প্রতিবাদেই তিনি পদত্যাগ করছেন।
Punjab: Former Lok Sabha MP Harinder Singh Khalsa resigns from BJP “in protest against the insensitivity shown by party leaders & the govt towards the sufferings of the farmers, their wives and children protesting against the three agrarian laws”.
— ANI (@ANI) December 26, 2020
আরও পড়ুন: কৃষি আইন নিয়ে রাহুলকে বিতর্কসভায় অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন জাভাড়েকর