মুম্বই: কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না ঠাকরে ও শিন্ডে শিবির। নিত্যদিন তাদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই বেড়েই চলেছে। ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঠাকরে শিবির। এবার তাদের চ্যালেঞ্জ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। কারণ তিনিও মহারাষ্ট্রের বিধানসভার স্পিকারের মতোই শিন্ডে শিবিরের বিধায়কদের শিবসেনার সদস্য হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এদিকে উদ্ধব ঠাকরে ও তাঁর সমর্থকরা এই দলবদলু বিধায়কদের শিবসেনার অংশ হিসাবে মানতে নারাজ। সেই কারণেই এবার ওম বিড়লার বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। শীর্ষ আদালতে দাখিল ওই আর্জিতে আবেদন করা হয়েছে, একনাথ শিন্ডে শিবিরের বিধায়কদের সদস্যপদ যেন খারিজ করা হয়। লোকসভায় রাহুল সেলওয়ালকে শিবসেনার নেতা হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্তও যেন বাতিল করা হয়। শিন্ডে শিবিরের সকল বিধায়কদের বিরুদ্ধেই দল-বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঠাকরে শিবিরের অভিযোগ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংসদের সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করেননি। তাঁর কাছে একাধিকবার আর্জি জানানোর পরও তিনি শিবসেনার সংসদের সদস্যদের কাছ থেকে কোনও জবাব জানতে চাননি। এই কাজ করে তিনি দলবিরোধী কার্যকলাপকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন বলে দাবি সাংসদ বিনায়ক রাউত ও রজন বিচারে। তাঁদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে তাদের সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হতেই দলনেতা ও হুইপ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদে বাদল অধিবেশন। তার পরেরদিনই, ১৯ জুলাই শিবসেনার ১২ জন বিদ্রোহী সাংসদ স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন এবং লোকসভায় তাদের নতুন দলনেতা ও হুইপের নাম সুপারিশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দাবি, তাঁরা কোনও ভুল করেননি। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যা কিছু করেছি, তা সংবিধানের অধীনেই যাবতীয় নিয়ম মেনে করেছি।”
এদিকে, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের অভিযোগ, সাংসদ বিনায়ক রাউত চিঠি লিখে যেদিন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে শিন্ডে শিবিরের বিধায়কদের দাবি না মানার অনুরোধ করেছিলেন, তার পরদিনই স্পিকার ওম বিড়লা তাদের নতুন পদে নিয়োগ করেন ঠাকরে শিবিরের সদস্যদের সরিয়ে।
গত মাসের শেষভাগে উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডে দুটি আলাদা শিবিরে ভাগ হয়ে যায়। তারপর থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দুই শিবিরে লড়াই চলছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন দুই পক্ষকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে।