বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের শিবমোগায় আইএসআইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর নাশকতার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বুধবার, আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মজিন আব্দুল রহমান এবং নাদিম আহমেদ কেএ। ভারত জুড়ে আইএস গোষ্ঠীর হয়ে নাশকতার ছক কষেছিল এরা, এমনই দাবি এনআইএ-র। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আরও চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ম্যাঙ্গালুরুতে এক অটোরিকশায় দুর্ঘটনাক্রমে একটি প্রেসার কুকার বোমা ফেটেছিল। সেই ঘটনা থেকেই আইএসআইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের বিষয়টি তদন্তকারীদের সামনে এসেছে।
এনআইএ-র জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া মজিন আব্দুল রহমান দক্ষিণ কানাড়া জেলার ম্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা। তাঁকে উগ্রপন্থায় টেনে এনেছিল আরেক অভিযুক্ত মাজ মুনির। অন্যদিকে, নাদিম আহমেদ কেএ-কে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীতে টেনে নিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত সৈয়দ ইয়াসিন। নাদিম, দাওয়ানগেরের বাসিন্দা। এনআইএর দাবি, দুজনকেই ভারতে আইএস গোষ্ঠীর নাশকতামূলক কার্যকলাপ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এনআইএ-র বিবৃতি অনুযায়ী, এরা দুজন “বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখে, সেই সব জায়গায় হয় নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগ করেছিল অথবা করার চেষ্টা করেছিল। আসলে এগুলো ছিল ভারতে ইসলামিক স্টেটের কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য এক বড় ষড়যন্ত্রের অংশ।”
প্রাথমিকভাবে ২০২২ সলের ১৯ সেপ্টেম্বর, কর্নাটকের শিবমোগা গ্রামীন থানায় এই নাশকতার অভিযোগের বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পরে ২০২২-এর ৪ নভেম্বর এই মামলার তদন্তভার নিয়েছিল এনআইএ। গত সপ্তাহেই এই মামলার তদন্তের কাজে কর্নাটকের ছয়টি জায়গায় হানা দিয়েছিল এনআইএ। ওই সময়ও এই মামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রেশান তাজুদ্দিন শেখ এবং হুজেইর ফারহান বেগ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। রেশান একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, উদুপি জেলার ব্রহ্মবর এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি ওই কুকার বোমা বহন করায় অভিযুক্ত মহম্মদ শরিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।