Airlines Issue: প্রাণ হাতে নিয়েই উঠছেন যাত্রীরা! দেশের বিমানগুলিতে ধরা পড়ল মারাত্বক গলদ, এর মধ্যে ৭টা গুরুতর!
DGCA: বিমানের ওঠানামায়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, ন্যাভিগেশন, এমনকী পাইলটদের মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও গাফিলতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

নয়া দিল্লি: আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা থেকেও শিক্ষা হয়নি। দেশের বিমানগুলির অবস্থা ভয়ঙ্কর! ভারতীয় বিমানসংস্থাগুলির একাধিক সুরক্ষাজনিত ত্রুটির কথা উঠে এল কেন্দ্রীয় রিপোর্টে। বিমান, এয়ারপোর্ট, রানওয়ে, কমিনিকেশন, রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত একাধিক গাফিলতি উঠে এসেছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) বার্ষিক অডিট রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি। বিগত এক বছরে দেশের ৮টি এয়ারলাইন্সে ২৬৩টি সুরক্ষা সংক্রান্ত ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৭টি ত্রুটি লেভেল ১-র অর্থাৎ সবথেকে গুরুতর।
এছাড়া বিমানের ওঠানামায়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, ন্যাভিগেশন, এমনকী পাইলটদের মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও গাফিলতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র এয়ার ইন্ডিয়া-রই ৫১টি গলদ খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ৩৫টি সুরক্ষাজনিত গাফিলতির উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে, যার মধ্যে ২টি গুরুতর। এছাড়া ইন্ডিগো-র বিমানে ২৩টি ত্রুটি, স্পাইসজেটের ১৪টি ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে।
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে বিশেষ অডিট DGCA-র। ৭টি যে লেভেল-১ ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে, তা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যেই সংশোধন করতে বলা হয়েছে। বাকি ৪৪টি ত্রুটি আগামী ২৩ অগস্টের মধ্যে সংশোধন করতে বলা হয়েছে। ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়াকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে যে সমস্ত সেফটি প্রোটোকল যে মানা হয়েছে, তার প্রমাণ দিতে।

