নয়া দিল্লি: ফ্রিজে তখনও শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ড রাখা। তারই মধ্য়ে এক মহিলাকে ফোন করেছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawalla)। তাঁকে ডেকে এনেছিলেন বাড়িতেও। কথাবার্তার পর বেশ অনেকটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। আফতাবের বাড়িতে যে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন ওই মহিলা, তারমধ্যে কোনও সময়ই তাঁর মনে হয়নি যে এই আফতাবই ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছেন লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walker Murder Case)। বর্তমানে গোটা দেশেরই চর্চার বিষয় দিল্লির হত্য়াকাণ্ড। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর দেহের ৩৫ টুকরো করেছিলেন তাঁর প্রেমিক আফতাব। সেই দেহ ১৮ দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে এসেছিলেন। পুলিশি জেরায় আফতাব ইতিমধ্যেই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এখনও অবধি মেলেনি শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ড। এবার পুলিশ সেই মহিলার সঙ্গেও কথা বললেন, যাকে আফতাব বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন শ্রদ্ধাকে খুনের পর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পেশায় একজন চিকিৎসক। দিল্লিতেই তিনি সাইকোলজিস্ট হিসাবে কাজ করেন। অনলাইন ডেটিং অ্যাপ্লিকেশন ‘বাম্বল’-এ পরিচয় হয়েছিল আফতাবের সঙ্গে। দুই বছর আগে এই অ্যাপেই আফতাবের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়াকারেরও। সেই আলাপ থেকেই প্রেম, লিভ-ইন সম্পর্ক এবং শেষে নৃশংস পরিণতি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই রহস্যজনক মহিলা, যাকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন আফতাব, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাম্বল অ্যাপের চিঠি পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তদন্তে সহযোগিতার জন্য বেশ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
আফতাবের কাছ থেকে সত্য উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। বারবার বয়ান বদল করছে। বাধ্য হয়েই পলিগ্রাফ ও নারকো অ্যানালিসিস টেস্ট করানো হচ্ছে আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে। শুক্রবারও আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়। বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁকে দিল্লির রোহিনীর ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়, সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ সেখান থেকে বের হন আফতাব। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের সোমবার নারকো অ্যানালাইসিস পরীক্ষা করানো হতে পারে আফতাবের। দিল্লির আম্বেদকর হাসপাতালেই এই পরীক্ষা করানো হবে।