নয়া দিল্লি: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের (Delhi Shraddha Murder Case) ঘটনায় বিবরণ শুনে চমকে উঠেছে গোটা দেশ। এই নৃশংস খুনের ঘটনার পুলিশি তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য আসেছে। ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল আফতাব পুনাওয়ালা নামের যুবক। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্রদ্ধাকে খুনের পর সবরকমভাবে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল আফতাব। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে লগইন করেছিল আফতাব। শ্রদ্ধা যে এখনও জীবিত তা প্রমাণ করার জন্য সঙ্গীর অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর বন্ধুদের ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করেছিল ওই যুবক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পরিকল্পনা ছাড়া এই নৃশংস খুন কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
পুলিশের তদন্তে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার তাঁর ক্রেডিট কার্ড বিলের টাকাও দিয়েছিল আফতাব। বিল না মেটানোয় কোনও ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সংস্থায় যাতে শ্রদ্ধার মুম্বইয়ের ঠিকানায় যোগাযোগ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই কাজ করেছিল আফতাব। উল্লেখ্যে, ২০১৯ সালে ডেটিং অ্যাপ মারফত শ্রদ্ধার সঙ্গে আলাপ হয় আফতাবের এবং সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
পুলিশের সূত্রকে উদ্ধৃত করে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আফতাব ও শ্রদ্ধার সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। এমনকী পরস্পরকে তারা অবিশ্বাস করতেও শুরু করেছিল। অবিশ্বাস এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে একে অপরকে ফোন করে হোয়াটস্যাপে জিপিএস লোকেশন ও আশেপাশের ছবি চেয়ে পাঠাত আফতাব-শ্রদ্ধা। সম্পর্ক বিষিয়ে যাচ্ছে দেখে ভাল সময় কাটাতে ও ভুল বোঝবুঝি মিটিয়ে নিতে এপ্রিল মাসে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বেড়াতেও গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে ফিরে এসে দিল্লিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে ওই যুগল। দিল্লির ছাতারপুরের ফ্ল্যাটেই শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে আফতাব।