নয়া দিল্লি: কোভিশিল্ড ছাডাও আরও ৪ করোনা ভ্যাকসিনের উপর কাজ করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (SII)। একটি ওয়েবিনারে একথাই জানালেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব। তিনি জানিয়েছেন, সেরাম মোট ৫ টি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করেছে। যার মধ্যে তিনটি এখন বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রায়ালের মধ্যে রয়েছে। অনুমোদন পেয়েছে একমাত্র কোভিশিল্ড।
দেশে ইতিমধ্যেই প্রথম দিন সাফল্যের সঙ্গেই সম্পন্ন হয়েছে করোনা টিকাকরণ। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষ। বিভিন্ন দেশে করোনা টিকা রফতানির চুক্তি হয়েছে সেরামের সঙ্গে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে টিকা পাঠানোর জন্য নভোভ্যাক্সের সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে সেরাম। বছরে প্রায় ২০০ কোটি নভোভ্যাক্স তৈরি করবে সেরাম।
এছাড়াও কোডাজেনিক্সের সঙ্গে টিকা নির্মাণের সঙ্গীও ভারতের সেরাম। দেশে আপদকালীন অনুমোদন পেয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন। তবে দুই সংস্থার বিরুদ্ধেও তথ্যের স্বচ্ছতা না থাকার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন সেরামের ডিরেক্টর। যাদবের কথায়, “এটাই প্রথমবার নয়। ৪ বছর আগে যখন আফ্রিকায় এবোলা সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল, তখন কানাডার ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম একটি ট্রায়াল শেষ করার পরেই দ্বিতীয় ট্রায়াল চলাকালীনই অনুমোদন দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই প্রতিষেধক এবোলা সংক্রমণ রুখেছিল।”
আরও পড়ুন: প্রদেশ সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর, ১২ ঘন্টার বনধ ডাকল ত্রিপুরা কংগ্রেস
পাশাপাশি আপদকালীন অনুমোদনের পিছনে অন্য যুক্তিও দেখান সুরেশ যাদব। এইচ১এন১ সংক্রমণের প্রসঙ্গে টেনে এনে তিনি জানান, ২০০৯ সালে তখন দেড় বছর লেগেছিল তাদের সব ট্রায়াল শেষ করে ভ্যাকসিন আনতে। কিন্তু অন্যান্য দেশে ৭ মাসের মাথায় ভ্যাকসিন এসেছিল। যাদব প্রশ্ন তোলেন, তখন যখন বিরোধিতা হয়নি, তাহলে এখন কেন ‘হাল্লাবোলো’?