গ্যাংটক: ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে সিকিম (Sikkim)। ভেসে গিয়েছে উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলার চুংথামের বিস্তীর্ণ এলাকা। এর উপর এখনও কয়েকদিনে সিকিমে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্য-বিধ্বস্ত চার জেলায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করল সিকিমের শিক্ষা দফতর (Sikkim education department)। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিয়োং, গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গন জেলার সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চুংথামে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর বুধবারই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন সিং তামাং। তারপর সামগ্রিক পরিস্থিতি ও আবহাওয়ার উপর নজর রেখে আগামী ১০ দিন রাজ্যের চার জেলার সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরই সিকিম শিক্ষা দফতরের তরফে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিয়োং, গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গন জেলার সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর বুধবার সকালেই পাকিয়োং, গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গন জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছিল সিকিম শিক্ষা দফতর। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে আরও ৭ দিন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে লোনক হ্রদের হিমবাহ বিস্ফোরিত হয়ে বানভাসী হয়ে যায় চুংথামের বিস্তীর্ণ এলাকা। মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যান ১০২ জওয়ান। তারপর বুধবার ভোরে তিস্তা নদীর জল বেড়ে বানভাসী হয় সংলগ্ন এলাকা। প্রায় দোতলা বাড়ি সমান জল উঠে যায়। বহু মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান। আটকে পড়েন বহু পর্যটক। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পলি সরতে শুরু করলে ধ্বংসের ভয়াল ছবি ধীরে-ধীরে প্রকাশ পায়। পলি সরতেই বেরিয়ে আসে আস্ত গাড়ি। এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। উদ্ধারকাজ চলছে।