Sikkim Flood: লাচুং-লাচেনে আটকে ৩ হাজার পর্যটক, চপার নামানোর ভাবনা সিকিম প্রশাসনের
Sikkim Flash Flood: জানা যাচ্ছে, উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেনে আটকে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক। তাঁর মধ্যে রয়েছেন বাঙালীরাও। আবহাওয়ার উন্নতি হলে চপার নামানোর পরিকল্পনা সিকিম প্রশাসনের। কোন পথে যোগাযোগ জানাচ্ছেন ট্যুর অপারেটরেরা। হেল্প লাইনে আসা তথ্যের ভিত্তিতে কোন কোন জেলার পর্যটকেরা আটকে তারও তথ্য তুলে ধরেছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ট্যুর অপারেটরেরা।
সিকিম: সামনে পুজো। তারপর টুকটাক ছুটিছাটাও রয়েছে। পাহাড়ের টানে বহু পর্যটক ছুটে গিয়েছিলেন সিকিমে। কিন্তু বিপদ যে এভাবে ধেয়ে আসবে তা ঠাউর করতে পারেননি কেউই। হড়পা বানে তছনছ উত্তর সিকিমের একাংশ। নিখোঁজ সেনা থেকে সাধারণ মানুষ। আটকে বহু পর্যটক। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জানা যাচ্ছে, উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেনে আটকে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক। তাঁর মধ্যে রয়েছেন বাঙালীরাও। আবহাওয়ার উন্নতি হলে চপার নামানোর পরিকল্পনা সিকিম প্রশাসনের। কোন পথে যোগাযোগ জানাচ্ছেন ট্যুর অপারেটরেরা। হেল্প লাইনে আসা তথ্যের ভিত্তিতে কোন কোন জেলার পর্যটকেরা আটকে তারও তথ্য তুলে ধরেছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ট্যুর অপারেটরেরা।
জানা গিয়েছে, প্রশাসন এবং ট্যুর অপারেটরদের তরফে ভোলা হেল্পলাইন নম্বরে বহু পর্যটকের পরিবার পরিজন সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। সেই তথ্য়ের ভিত্তিতে এলাকাগুলিতে আটকে থাকা পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে। যেহেতু বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়েছে সেই কারণে বুধবার রাত্রি পর্যন্ত আটকে থাকা পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি।
ট্যুর অপারেটরদের সংগঠনের নেতা সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন যে, পর্যটকদের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে তাঁরা আটকে রয়েছেন। তাঁদের নামিয়ে আনতে সিকিম এবং বাংলা প্রকাশকদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে এই মরসুমে সিকিমে পর্যটন কার্যত বন্ধের মুখে।
আর এই ঘটনার দায় এনএইচপিসি কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন সম্রাটবাবু। তাঁর দাবি, এই পরিস্থিতি ম্যান মেড। তিনি বলেন, “তিস্তায় একাধিক ড্যাম,হোটেল,গাড়ির চাপ,টানেল ইত্যাদির কারণে মাটি তার ধারণ ক্ষমতা হারাচ্ছে।” তাঁর বক্তব্য, করোনা পরবর্তীকালে ফের আরও একবার কার্যত বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ত্রিশ হাজার মানুষ। বিগত সময়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকার কীসের ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন তিনি।