AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

MP BLO Death: ‘চার রাত ঘুমায়নি’, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই BLO-র মৃত্যু মধ্য প্রদেশে! অত্যাধিক চাপই কারণ?

SIR in India: ডেডলাইন চলে আসায় গত চার রাতে রমাকান্ত এক ফোঁটাও ঘুমোননি বলেই দাবি তাঁর স্ত্রী রেখা পান্ডের। তিনি জানান, এসআইআর নিয়ে ক্রমাগত ফোন আসত। রমাকান্তবাবু ভয় পাচ্ছিলেন যে এসআইআরের কাজ সময়মতো শেষ করতে না পারলে, তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে।

MP BLO Death: 'চার রাত ঘুমায়নি', ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই BLO-র মৃত্যু মধ্য প্রদেশে! অত্যাধিক চাপই কারণ?
ফাইল চিত্র।Image Credit: PTI
| Updated on: Nov 23, 2025 | 7:25 AM
Share

ভোপাল: শুধু বাংলা নয়, এবার অন্য রাজ্যেও বিএলও(BLO)-র মৃত্যু। অভিযোগ উঠল কাজের অত্যাধিক চাপ ও কড়া ডেডলাইনের। মধ্য প্রদেশে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুইজন স্কুল শিক্ষকের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরা দুজনই বুথ লেভেল অফিসার হিসাবে এসআইআর(SIR)-র কাজ করছিলেন।

মধ্য প্রদেশের রাইসেন জেলার বাসিন্দা রমাকান্ত পান্ডে। তিনি মন্দিদীপ এলাকার বিএলও হিসাবে কাজ করছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, কাজের অত্যন্ত চাপ, এর জন্য ভীষণভাবে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। প্রতি রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থেকে এসআইআরের কাজ শেষ করার চেষ্টা করছিলেন।

ডেডলাইন চলে আসায় গত চার রাতে রমাকান্ত এক ফোঁটাও ঘুমোননি বলেই দাবি তাঁর স্ত্রী রেখা পান্ডের। তিনি জানান, এসআইআর নিয়ে ক্রমাগত ফোন আসত। রমাকান্তবাবু ভয় পাচ্ছিলেন যে এসআইআরের কাজ সময়মতো শেষ করতে না পারলে, তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি অনলাইন মিটিং চলাকালীনই সংজ্ঞা হারান রমাকান্ত। এরপর আর ওঠেননি।

এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরই মধ্য প্রদেশের দামোহ জেলার সীতারাম গোন্দ (৫০)-র মৃত্যু হয়। জেলাশাসকের অফিস থেকে অসুস্থতার কারণে ওই বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হলেও, পরিবার ও সহকর্মীদের দাবি, কাজের অত্যাধিক চাপ ও সাসপেন্ড হওয়ার ভয়-আতঙ্কেই তাঁর প্রাণ গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, রঞ্জরা ও কুড়া কুড়ান গ্রামের এসআইআরের দায়িত্বে ছিলেন সীতারাম। বৃহস্পতিবার এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ করতে গিয়েই তিনি অ,সুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে জব্বলপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সহকর্মীদের দাবি, ১৩০০ ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করে আপলোড করতে হত তাঁকে, কিন্তু নামমাত্র কাজ হয়েছিল। এই নিয়ে প্রচন্ড মানসিক চাপে ছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এর আগে মধ্য প্রদেশের আরেক শিক্ষক, ভুবন সিং চৌহান, যিনি বিএলও-র কাজ করছিলেন, তিনিও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং তাঁর মৃত্য়ু হয়। মৃত্যুর দিন কয়েক আগেই তাঁকে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরিবারের দাবি, এসআইআরের কাজের চাপেই মৃত্য়ু হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের আতঙ্কে একাধিক মানুষের আত্মহননের খবর এসেছে। সম্প্রতি রাজ্যে তিন বিএলও-র মৃত্যু নিয়েও শোরগোল পড়েছে। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে চিঠিও লিখেছেন নির্বাচন কমিশনকে।