নয়াদিল্লি: সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলার সময় হামলা চালালো দুই অজ্ঞাত পরিচয়। দর্শকাসন গ্যালারি থেকে অধিবেশনের সময় সাংসদরা যেখানে বসেন, সেখানে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। এর পর এক ধরনের বিশেষ বোমা ছোড়া হয়। যার জেরে ধোঁয়ায় ভরে যায় সংসদের অন্দর। এর জেরে সংসদে উপস্থিত সাংসদদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সকলে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগের জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশনও। জানা গিয়েছে, দুই অজ্ঞাতপরিচয় স্মোক বম্ব ছুড়েছিল সংসদে। তার জেরেই হলুদ ধোঁয়ায় ভরেছিল অধিবেশন কক্ষ। কিন্তু স্মোক বম্ব কী? এর জেরে কী ক্ষতি হতে পারে?
সাধারণত নিত্যদিন যে সব বোমা উদ্ধার হয়, তার সঙ্গে স্মোক বম্বের তফাত আছে। ওই সব বোমার শক্তি অনেক বেশি। তার ক্ষতির পরিমাণও মারাত্মক। সে অর্থে স্মোক বম্বকে এক ধরনের বাজি বলা যায়। যা প্রচুর ধোঁয়া উৎপাদন করতে সক্ষম। দিওয়ালি এবং বিভিন্ন পার্টিতেও এই স্মোক বম্বের ব্যবহার হয়ে থাকে। এই স্মোক বম্ব থেকে বিভিন্ন রঙের ধোঁয়া তৈরি হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবের উদযাপন থেকে প্রতিবাদ মিছিলে এই স্মোক বম্বের ব্যবহার হয়ে থাকে। বুধবার সংসদেও এই বম্ব ব্যবহৃত হয়েছে।
স্মোক বম্বের ইতিহাস
স্মোক বম্বের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে নিশ্চিতভাবে উঠে আসে জাপানের নাম। ত্রয়োদশ শতকে জাপানিরা এই ধরনের স্মোক বম্বের ব্যবহার করতেন। কিন্তু আধুনিক স্মোক বম্বের রূপকার এক ব্রিটিশ ব্যক্তি। ১৮৪৮ সালে ব্রিটিশ উদ্ভাবক রবার্ট ইয়ালে তা তৈরি করেন। তবে চিনা পদ্ধতিতে এই বম্ব বানিয়েছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য পরবর্তীকালে এ ধরনের বম্ব তৈরির ফরমুলায় পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন যে ধরনের স্মোক বম্ব পাওয়া যায়, তা থেকে বিভিন্ন রঙের ধোঁয়া তৈরি হয়ে থাকে।
তবে এই বম্বে সরাসরি আহত হওয়া বা প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটায় না। তবে বম্ব থেকে তৈরি হওয়া ধোঁয়া ফুসফুসের গুরুতর ক্ষতিসাধনে সক্ষম।