বাড়ির মেয়ে ধর্ষিতা হলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তা শোধ হয়? ‘হৃদয়হীন’ মমতাকে বিঁধলেন স্মৃতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Aug 19, 2021 | 8:24 PM

TV9 বাংলাকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'হৃদয়হীন' বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

Follow Us

অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়া দিল্লি: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় হাইকোর্টের রায়ে বড় জয় দেখছে গেরুয়া শিবির। আর সেই ঘটনার পরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর তোপ দাগা শুরু করেছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। সেই সারিতে সর্বশেষ সংযোজন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। TV9 বাংলাকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হৃদয়হীন’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

বাংলাটা কখনই খারাপ বলেন না স্মৃতি। আর হাইকোর্টের রায়ের পর শুদ্ধ বাংলাতেই এ রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধোনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যে যত ধরনের হিংসা এবং সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছিল, তার গোটাটা মুখ্যমন্ত্রী জানতেন, এমনটাই দাবি স্মৃতির। তিনি দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ধর্ষণের বিষয়ে তথ্য ছিল মমতার কাছে। কিন্তু তিনি ধর্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ৬০ বছরের বৃদ্ধার ধর্ষণ হচ্ছিল, আর ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখের সামনে সেগুলো হয়। ওদের দেখতে বাধ্য করা হয়। আর উনি বলতে থাকলেন খেলা হবে!” বিস্ময়ের সুরে বলেই স্মৃতি।

ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ উঠলে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে হামেশাই বলতে শোনা গিয়েছে যে সরকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দাবিকেও রীতিমতো নস্যাৎ করেছেন স্মৃতি। ৬ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পরই হিংসার ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে এ দিন তিনি দাবি করেন। একের পর এক হিংসার ঘটনা সত্ত্বেও কেন মমতা একবারও দুর্গতদের খোঁজ নিলেন না, বা তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন না, সেই প্রশ্নও তুলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।

প্রসঙ্গত, এ দিনের রায়ে আদালত জানিয়েছে, হিংসায় প্রভাবিত ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যদিও যারা প্রাণ এবং সর্বস্ব হারিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাঁদের ক্ষতি সাধন সম্ভব নয় বলেই মনে করেন স্মৃতি। তাঁর কথায়, “আমার বাড়ির মেয়ে যদি ধর্ষিতা হয়, আমি কি কখনও বসে ওর ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা করতে পারব? বাড়ির ছেলের মাথা কেটে ঝুলিয়ে দেওয়ার পর আমি বলতে পারব কখনও কত টাকা চাই? বলতে পারব না। কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা চেয়েছে? সবাই শুধু নিরপেক্ষ তদন্ত আর ন্যায় চেয়েছে।”

শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে কোনও বার্তা দিতে চান কি না। সেই প্রশ্নের জবাবে স্মৃতি জানিয়ে দেন, “কী বলব! হৃদয়হীন মানুষকে হৃদয় দিয়ে কিছু বলা যায় না। কেন বলব? আদালত যা বলার বলে দিয়েছে। এখন আমরা আদালতে শুনব।” আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা: হাইকোর্টের রায়ের পর ‘রাজনীতির উর্ধ্বে’ উঠলেন শুভেন্দু

 

অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়া দিল্লি: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় হাইকোর্টের রায়ে বড় জয় দেখছে গেরুয়া শিবির। আর সেই ঘটনার পরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর তোপ দাগা শুরু করেছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। সেই সারিতে সর্বশেষ সংযোজন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। TV9 বাংলাকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হৃদয়হীন’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

বাংলাটা কখনই খারাপ বলেন না স্মৃতি। আর হাইকোর্টের রায়ের পর শুদ্ধ বাংলাতেই এ রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধোনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যে যত ধরনের হিংসা এবং সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছিল, তার গোটাটা মুখ্যমন্ত্রী জানতেন, এমনটাই দাবি স্মৃতির। তিনি দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ধর্ষণের বিষয়ে তথ্য ছিল মমতার কাছে। কিন্তু তিনি ধর্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ৬০ বছরের বৃদ্ধার ধর্ষণ হচ্ছিল, আর ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখের সামনে সেগুলো হয়। ওদের দেখতে বাধ্য করা হয়। আর উনি বলতে থাকলেন খেলা হবে!” বিস্ময়ের সুরে বলেই স্মৃতি।

ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ উঠলে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে হামেশাই বলতে শোনা গিয়েছে যে সরকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দাবিকেও রীতিমতো নস্যাৎ করেছেন স্মৃতি। ৬ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পরই হিংসার ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে এ দিন তিনি দাবি করেন। একের পর এক হিংসার ঘটনা সত্ত্বেও কেন মমতা একবারও দুর্গতদের খোঁজ নিলেন না, বা তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন না, সেই প্রশ্নও তুলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।

প্রসঙ্গত, এ দিনের রায়ে আদালত জানিয়েছে, হিংসায় প্রভাবিত ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যদিও যারা প্রাণ এবং সর্বস্ব হারিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাঁদের ক্ষতি সাধন সম্ভব নয় বলেই মনে করেন স্মৃতি। তাঁর কথায়, “আমার বাড়ির মেয়ে যদি ধর্ষিতা হয়, আমি কি কখনও বসে ওর ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা করতে পারব? বাড়ির ছেলের মাথা কেটে ঝুলিয়ে দেওয়ার পর আমি বলতে পারব কখনও কত টাকা চাই? বলতে পারব না। কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা চেয়েছে? সবাই শুধু নিরপেক্ষ তদন্ত আর ন্যায় চেয়েছে।”

শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে কোনও বার্তা দিতে চান কি না। সেই প্রশ্নের জবাবে স্মৃতি জানিয়ে দেন, “কী বলব! হৃদয়হীন মানুষকে হৃদয় দিয়ে কিছু বলা যায় না। কেন বলব? আদালত যা বলার বলে দিয়েছে। এখন আমরা আদালতে শুনব।” আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা: হাইকোর্টের রায়ের পর ‘রাজনীতির উর্ধ্বে’ উঠলেন শুভেন্দু

 

Next Article