নয়া দিল্লি: হঠাৎ করেই হাসপাতালে ভর্তি করা হল সমাজকর্মী আন্না হাজারেকে (Anna Hazare)। পুণের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৮৪ বছর বয়সী এই সমাজকর্মীকে। জানা গিয়েছে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন আন্না। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের সুপার চিকিৎসক অভধুত বোদামওয়াড জানিয়েছেন, বর্তমানে আন্না হাজারের অবস্থা স্থিতিশীল।
২০১১ সালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান মুখ ছিলেন আন্না হাজারে। তখন কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার (UPA Govt) ছিল। তাঁর আন্দোলনে অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal), কিরণ বেদীরা (Kiran Bedi) সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁরা পূর্ণ সময় রাজনীতিতে চলে আসেন। পুণে থেকে ৮৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আহমেদনগর জেলার রালেগান সিদ্ধি গ্রামে থাকেন আন্না। দুর্নীতি বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দীর্ঘদিন অনশন আন্দোলন করেছিলেন আন্না। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়েও আন্নার লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে আরও একবার তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই সময়ও তিনি দুর্নীতি বিরুদ্ধে ৭ দিন ধরে অনশন আন্দোলন চালিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মস্তিস্কে রক্ত সরবরাহের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আন্না।
চলতি বছরের শুরুতেই তিনটি কৃষি আইন নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছিলেন আন্না হাজারে। দিল্লিতে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলনরত কৃষকদের নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন আন্না। তিনি জানিয়েছিলেন, এই তিনটি কৃষি আইনের মধ্যে কোনও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ছাপ নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখে আন্না জানিয়েছিলেন, জানুয়ারি মাসের শেষে কৃষি আইনের প্রতিবাদে, তিনি তাঁর জীবনে শেষ বারের মতো অনশন আন্দোলনে নামছেন। এরপর বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের উপস্থিতিতে অনশন না করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন আন্না।
তিনি জানিয়েছিলেন কেন্দ্র কৃষকদের ১৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি নিজের সিদ্ধান্তে থেকে সরে এসেছেন। এরপরে তিনি বলেন, “দীর্ঘ তিন বছর থেকে কৃষকদের দাবি নিয়ে আমি সরব হয়েছি। সরকার আমাকে চিঠি লিখে জানিয়েছে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।”