উত্তর প্রদেশ: বাবা রাস্তার ধারে একটি ছোট্ট দোকান চালান। রাস্তার ধারে ওই ছোট্ট দোকানে হালিম বিক্রি করেন। এইভাবেই ছেলেকে বড় করেছেন। আর সেই সন্তান এবার আদালতে বসবেন বিচারকের আসনে। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের প্রভিনশিয়াল সিভিল সার্ভিস-জুডিশিয়ার পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। গত ৩০ অগস্ট পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়েছে। আর তাতে ১৩৫-তম স্থান অর্জন করেছেন মহম্মদ কাসিম। পরীক্ষায় পাশ করার পর এবার তিনি বিচারকের আসনে বসবেন। তাঁর এই অনবদ্য সাফল্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচুর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক্স হ্যান্ডেলে কাসিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর বন্ধুবান্ধবরাও। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার ইতিমধ্যেই বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। নতুন দায়িত্বে মহম্মদ কাসিমকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।
আইনজীবী এসজি রব্বানি এক্স হ্যান্ডেলে মহম্মদ কাসিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের সিভিল আদালতের বিচারক হওয়ার পরীক্ষায় পাশ করার জন্য। কাসিমকে তাঁর নিজের মেন্টর হিসেবেই মনে করেন আইনজীবী রব্বানি, সেকথাও লিখেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। কুর্নিশ জানিয়েছেন কাসিমের পরিশ্রমকে। লিখেছেন, ‘এটা আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফসল, আমি আপনার এই সাফল্যের জন্য গর্বিত। বেঞ্চে আপনাকে নতুন ভূমিকার জন্য শুভকামনা রইল।’
Many Congratulations to Mohammad Kasim bhai, my senior, mentor and a friend on clearing the Uttar Pradesh Civil Judge exam and becoming a judge! Your hard work has paid off, and I’m really proud of your achievement. Wishing you all the best in your new role on the bench! 🎉👨⚖️ pic.twitter.com/hbf4OGffQZ
— Adv S G Rabbani Alig (@sgrabbani_ias) August 30, 2023
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক অনলাইন পোর্টালে মহম্মদ কাসিম জানিয়েছেন, তাঁর মা সবসময় তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গিয়েছেন। সংসারে অনেক প্রতিকূলতা থাকার পরেও কোনওদিন কাসিমকে স্কুল বন্ধ করতে দেননি তাঁর মা। তিনি আরও জানাচ্ছেন, জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় তাঁর সবথেকে ভাল লেগেছে পার্সোনাল ইন্টারভিউ রাউন্ড। পার্সোনাল ইন্টারভিউয়ের প্যানেলে ছিলেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি। মানুষজনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তিনি যে উপায়ের কথা বলেছিলেন, তাতে প্যানেলের প্রত্যেকেরই বেশ পছন্দ হয়েছিল বলে ওই পোর্টালে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিযোগিতামীলক পরীক্ষার প্রস্তুতির ওই পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহম্মদ কাসিম আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এলএলবি পাশ করেন। পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে এলএলএম পাশ করেন। জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য নিজের শিক্ষকদের অবদানের কথাও বলছেন তিনি।