AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Crime: পিসেমশাইয়ের সঙ্গে লুকিয়ে লুকিয়ে সম্পর্ক! বিয়ের পরও থামেনি, ৪৫ দিনের মাথায় স্বামীর সঙ্গে যা করল…কল্পনাতেও আসবে না!

Illicit Relation: গুঞ্জার সঙ্গে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তাঁর পিসেমশাই জীবনের। কয়েক মাস আগে তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। গুঞ্জার বাবা প্রিয়াংশুর সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে। গুঞ্জাও রাজি হয়ে যায়।

Crime: পিসেমশাইয়ের সঙ্গে লুকিয়ে লুকিয়ে সম্পর্ক! বিয়ের পরও থামেনি, ৪৫ দিনের মাথায় স্বামীর সঙ্গে যা করল...কল্পনাতেও আসবে না!
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Meta AI
| Updated on: Jul 05, 2025 | 6:12 PM
Share

পটনা: মেঘালয়ে হানিমুন মার্ডারের কথা মনে আছে তো? গত জুন মাসেই, বিয়ের পর হানিমুনে নিয়ে গিয়ে সুপারি কিলার দিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করিয়েছিল সোনম রঘুবংশী। গোটা ঘটনায় মদত দিয়েছিল প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা। গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার একই ঘটনা ছায়া।

বিহারের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা, বছর চব্বিশের প্রিয়াংশু কুমার সিং গত ২৪ জুন রাতে খুন হন। বারাণসী থেকে ফিরছিলেন তিনি, স্টেশন থেকে ফেরার পথেই দুই ব্যক্তি তাঁকে খুন করে দেহ ফেলে রেখে চলে যায়। ৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর তাঁর স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ প্রিয়াংশুর দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ ছিল, এটা কনট্রাক্ট কিলিং। তবে ঘটনার মোড় যে এমনভাবে নেবে, তা কল্পনা করতে পারেনি পুলিশও।

সোনম রঘুবংশী যেভাবে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করিয়েছিল, সেই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই প্রিয়াংশুর স্ত্রী গুঞ্জাও স্বামীকে খুন করায়। মাত্র ৪৫ দিন আগেই তাদের বিয়ে হয়েছিল!

তদন্তে জানা গিয়েছে, গুঞ্জার সঙ্গে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তাঁর পিসেমশাই জীবনের। কয়েক মাস আগে তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। গুঞ্জার বাবা প্রিয়াংশুর সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে। গুঞ্জাও রাজি হয়ে যায়। এপ্রিল মাসে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু এরপর পিসেমশাই ফের গুঞ্জার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আবার তাঁদের সম্পর্ক শুরু হয়।

স্বামী পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল, সেই কাঁটা সরাতেই পিসেমশাইয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুনের। তাঁর পিসেমশাই ঝাড়খণ্ড থেকে দুইজন কনট্রাক্ট কিলারকে ভাড়া করে। তারা গত ২৪ জুন প্রিয়াংশুকে খুন করে। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ বাড়তেই গুঞ্জাকে জেরা করা হয়। ২ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরা করে ওই দুই সুপারি কিলার ও পিসেমশাইকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন প্রিয়াংশু বারাণসী থেকে ফিরছিল। স্টেশনে নামার পর ফোনে স্ত্রীকে জানায়। এরপরই গুঞ্জা ওই সুপারি কিলারদের প্রিয়াংশুর ফেরার পথের লোকেশন বলে দেয়। প্রিয়াংশু সেখানে পৌঁছতেই তাঁরা খুন করে পালায়।