নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হতে পারে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন সপ্তাহ পর তাঁকে ফের একটি নতুন সমন পাঠাবে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত এক অর্থ পাচারের মামলায় বুধবারই (৮ জুন) ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস সভানেত্রীর। তবে, গত ২ জুন তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছিল। সেই কথা জানিয়ে, মঙ্গলবারই তিনি হাজিরা দেওয়ার জন্য, কর্তৃপক্ষের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। সনিয়া জানিয়েছিলেন, তাঁর সর্বশেষ কোভিড পরীক্ষার রিপোর্টও তাঁকে কোভিড-নেতিবাচক হিসাবে ঘোষণা করেনি। ডাক্তাররা এখনও তাঁকে বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১ জুন), ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে সনিয়া গান্ধী এবং তাঁর পুত্র তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি। ইয়াং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার পক্ষ থেকে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটির পরিচালন সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।
গত সোমবারই রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তবে, তিনিও ইডির কাছে, হাজিরা দেওয়ার জন্য কিছু সময় চেয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন বিদেশ সফরে থাকার কারণে তিনি তদন্তকারী এজেন্সির সামনে উপস্থিত হতে পারছেন না। আগামী সোমবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
রাহুল এবং সনিয়া – দুজনেই এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীদের মুখোমুখি না হতে পারলেও, ইডির সামনে হাজির হতে তাঁদের কোনও অসুবিধা নেই বলেই দাবি করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা জানিয়েছেন, গান্ধী পরিবারের সদস্য বা কংগ্রেস দলের অন্যান্য নেতাদের ‘আড়াল করার কিছু নেই’। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা আইন মান্যকারী দল। আমরা নিয়ম মেনে চলি। তাই, তলব করা হলে, আমরা অবশ্যই যাব। আমাদের লুকানোর কিছু নেই। আমরা বিজেপির মতো নই। আমাদের মনে আছে অমিত শাহ ২০০২ থেকে ২০১৩ সাল অবধি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন…যারা সত্যের পথে চলে, তারা কেমন আমাদের কাছ থেকে ওদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমাদের কাছ থেকে শিখুন’।
এর আগে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে ইডির সমন পাঠানোর প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তুলনা করেছিল কংগ্রেস। সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছিলেন, ইডির পাঠানো সমন এবং কেন্দ্রের এই ধরনের ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ’কে কংগ্রেস ভয় পায় না।