নয়া দিল্লি: সাম্প্রতিক পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশের শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস (Congress)। এমনকী যে সীমিত সংখ্যক রাজ্যে দল ক্ষমতায় ছিল, পঞ্জাব (Punjab) তাঁর মধ্যে অন্যতম ছিল। সেই পঞ্জাবও এবারের ভোটে কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। বিপুল পরাজয়ের পর দলের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতাদের (G-23 Leaders) একাংশের সঙ্গে কথা বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এমনকী তাদের দেওয়া প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করা হবেও বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর দলকে নতুন করে সাজাতে চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু আগামী মাসেই দেশের শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন। সাংগঠনিক নির্বাচনকে মাথায় রেখে ১৩৭ বছরের কংগ্রেস দলে এক নয়া নিয়ম চালু হয়েছে। এবারে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নিতে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তার জন্য অনলাইন ও অফলাইন দুটি পদ্ধতিই ছিল। ২ কোটি ৬০ লক্ষ কর্মী অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং প্রায় ৩ কোটি কর্মী অফলাইন পদ্ধতিতে নাম নথিভুক্ত করেছেন। সোনিয়া গান্ধীও (Sonia Gandhi) অ্যাপের মাধ্যমে সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নেওয়া জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন।
নির্বাচনের বিপর্যয়ের পর, একদল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দলের সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তাদের দাবি ছিল, দলে অপ্রয়োজনীয় সদস্য রয়েছে। তাদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে, কংগ্রেস সদস্যপদে জন্য একটি মোবাইল অ্যাপলিকেশন চালু করেছিল। ওই অ্যাপের মাধ্যমে কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা ৪ টি ধাপে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। সীমিত সংখ্যক নেতার কাছে এই অ্যাপের মাধ্যম নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। চারটি ধাপ সম্পূর্ণ করে নাম নথিভুক্তকরণ হয়ে গেলেই তাদের একটি ডিজিটাল আইডি কার্ড দেওয়া হবে। ওই আইডি কার্ডই দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে ভোটার কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। জি-২৩ নেতারা অগান্ধী কাউকে কংগ্রেস সভাপতি করতে দাবি জানিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন, সেই সময় কংগ্রেস কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন COVID 19 : দুয়ারে চতুর্থ ঢেউ, রাজধানী সংলগ্ন এলাকার কোভিড পজিটিভিটি রেটেই জমছে চিন্তার মেঘ