নয়া দিল্লি: গত কয়েক মাসে গোটা দেশে করোনা উদ্বেগ অনেকটা কমলেও মার্চের মাঝামাঝি থেকে ফের বাড়ছে চিন্তা। করোনাকালের শুরু থেকে গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়তে থাকে মহারাষ্ট্র। তবে দুশ্চিন্তার পারায় পিছিয়ে ছিল না রাজধানী দিল্লিও। এবার দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকাতে ফের নতুন করে বাড়ছে কোভিড গ্রাফ। আর ঠিক সেই কারণেই তৃতীয় ঢেউয়ের থাবা খানিক সঙ্কুচিত হলেও উুঁকি দিতে শুরু করেছে চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভাবনা(Corona fourth wave in India)। বর্তমান দৈনিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে এনসিআর এলাকায় উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে কোভিড কেসের সংখ্যা। শুক্রবারের কোভিড গ্রাফ বলছে ইতিমধ্যেই ৮.৫শতাংশের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে গুরুগ্রামের কোভিড পজেটিভিটি রেট।
হরিয়ানার স্বাস্থ্য দফতরের তরফের প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে বুধবার রাজ্যে নতুন করে ১৭৯ জন করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ১৪৬ জনই গুরুগ্রামের। এই নয়া পরিসংখ্যান সামনে আসতেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে হরিয়ানার স্বাস্থ্য কর্তাদের। আশঙ্কাবাণী শোনাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য তাঁরা প্রধানত আম-আদমির করোনা ক্লান্তিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। পাশাপাশি করোনা বিধি পালনে ঢিলেমি, মাস্ক পরতে গড়িমসির কারণেই অবনতি হচ্ছে সামগ্রিক পরিস্থিতির। দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির অধ্যাপক সত্যজিৎ রাথ অবশ্য এর জন্য সরকারি ভাবে করোনা বিধির যথাযথ বাস্তাবায়নের গাফিলতিকেই দুষেছেন। তাঁর সাফ বক্তব্য, করোনা চলে গিয়েছে এই ধারনাই কাল করেছে আম-আদমির। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই বিশ্ববব্যাপী নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কার্যত তাদের গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি সমস্ত করোনা বিধি তুলে নেওয়ার খেসারত দিচ্ছে একাধিক দেশ। সেই সঙ্গে করোনা বিদায় নিয়ে একাধিক ভুয়ো তথ্যও বিভ্রান্তি তৈরি জনমানসের মধ্যে। মাস্ক পরার অভ্যাস ত্যাগের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্বের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার কারণেও নতুন করে দাপট দেখাতে শুরু করেছে মারণ করোনা। এদিকে রাজধানী সংলগ্ন এলাকার মধ্যে চলতি সপ্তাহে সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়িয়েছে দিল্লি(Corona infection in Delhi)। শুধুমাত্র বুধবার সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ৩২৫ জন নতুন করে করোনার কবলে পড়েন। পজেটিভিটি রেট দাঁড়ায় ২.৩৯ শতাংশ। করোনার কবলে পড়েছেন বহু স্কুল পড়ুয়া। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে নতুন সক্রমণ ঠেকিয়ে স্কুল চালু রাখতে নয়া নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।