নয়া দিল্লি: মাত্র ২০ শতাংশ সচল বাবার হৃৎপিণ্ড। প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজন অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা এমন নয় যে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করানো সম্ভব নয়। চিকিৎসার আশায় সরকারি হাসপাতালেরই দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানেও লম্বা লাইন। নিরুপায় হয়েই এক্স হ্যান্ডেলে সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেন ওই ব্যক্তি। আর তাতেই সাড়া দিলেন বলিউডের অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
পল্লব সিং নামক ওই যুবক উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা। তাঁর বাবার হার্টের সমস্য়া। ব্লকেজ হয়ে মাত্র ২০ শতাংশ সচল তাঁর হৃৎপিণ্ড। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রাণ বাঁচাতে অবিলম্বে করাতে হবে হার্ট সার্জারি। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর আর্থিক সামর্থ্য় না থাকায়, ওই ব্যক্তি তাঁর বাবাকে নিয়ে দিল্লির এইমসে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। অস্ত্রোপচারের জন্য অ্য়াপয়েন্টমেন্ট না পেয়েই পল্লব এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন সাহায্য চেয়ে।
My father will die, soon or very soon.
Yes, I know what I am saying.
I am writing this while standing in a queue at AIIMS Delhi
Please read🙏.
— Pallav Singh (@pallavserene) December 4, 2023
তিনি পোস্টে লেখেন, “আমার বাবা মরে যাবে। খুব শীঘ্রই। আমি জানি আমি কী বলছি। দিল্লির এইমসের লাইনে দাঁড়িয়ে আমি এই কথাগুলি লিখছি। আমি মধ্যবিত্ত এক পরিবার থেকে এসেছি। হাতে চিকিৎসার যে বিল পেয়েছি, তাতে দরিদ্র হওয়ার এক ধাপ আগে দাঁড়িয়ে রয়েছি। হাসপাতালের এই বিল দেখে আমার মনে হচ্ছে না বাবাকে বাঁচাতে পারব।”
We won’t let your father die brother.
Message me ur number directly on my personal twitter id inbox .. kindly don’t share on a tweet. @SoodFoundation 🇮🇳 https://t.co/rkq8WuhvXu— sonu sood (@SonuSood) December 4, 2023
ওই যুবকের আবেগঘন পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে শেয়ার হয়। পোস্টটি নজরে পড়ে বলিউড অভিনেতা সোনু সুদেরও। তিনি সঙ্গে সঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ভাই, আমরা তোমার বাবাকে মরতে দেব না। আমাকে ইনবক্সে তোমার ফোন নম্বর দাও।”
সোনু সুদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের কাছেও টুইটটি পৌঁছয়। দিল্লির এইমসের তরফেও যুবকের পোস্টের রিপ্লাই করা হয়। তাতে বলা হয়, “এইমস দিল্লি কার্ডিওলজি বিভাগে এক রোগীর ভর্তি থাকার বিষয়টি জানতে পেরেছি আমরা। হাসপাতালের রেকর্ড থেকে আমরা ওই রোগীর ছেলেকে ফোন করি এবং জানতে পারি যে ওঁরা বর্তমানে দেওরিয়ার গ্রামে রয়েছেন। বর্তমানে তাদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কোনও সমস্যা হলেই তাঁরা এইমসে আসবেন বলে জানিয়েছেন।”