নয়া দিল্লি: পেগাসাস নিয়েই আপাতত উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। তবে দেশের গণ্ডিতেই নয়, এ বার বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে পেগাসাস বিতর্ক। মঙ্গলবার একটি অলাভজনক সংস্থা, যারা পেগাসাসের শিকারদের ফোন নম্বরের তালিকা প্রকাশ করেছিল, তারা জানায়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সরকারের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বদের ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল পেগাসাস (Pegasus) নামক ওই ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে।
প্যারিসে অবস্থিত ফরবিডেন স্টোরি নামক ওই অলাভজনক মিডিয়া সংস্থাটিই প্রথমে পেগাসাসের বিষয়টি সকলের সামনে আনে। যে ৫০ হাজার মানুষের ফোনে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি রাখা হচ্ছিল, তার মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যক্রঁ-র নামও রয়েছে বলে দাবি ওই সংস্থার।
এই বিষয়ে মঙ্গলবার একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ফরবিডেন স্টোরিজ-র প্রধান লরেন্ট রিচার্ড বলেন, “আমরা এই নম্বরগুলি পেয়েছি তবে ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ-র ফোনের টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করতে পারিনি, যার জেরে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ওনার ফোনেও ম্যালওয়্যার হানা দিয়েছিল। তবে কোনও বিশেষ কারণেই এই আড়ি পাতার কাজ চলছিল, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।”
এই বিষয়টি চাউর হতেই প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর অফিসের এক মুখ্যপাত্র বলেন, “যদি এই ঘটনার সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়।”
রবিবারই একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের ফোনালাপে নজরদারি চালানোর বিষয়টি সামনে আসে। কেবলমাত্র কেন্দ্র সরকারের কাছে এই স্পাইওয়্যারটি থাকায় তারাই নজরদারি চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
পেগাসাসের শিকার ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি-সকলেরই নাম উঠে আসে। যদিও কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করা হয়েছে। আরও পড়ুন: অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নমো, শুনতে বললেন তাঁর কোন কথা?