India-China Clash: ঝর্ণার পিছনে সিসিটিভি লাগানোর চেষ্টা, রাতের অন্ধকারে তাওয়াংয়ে কেন ঢুকছিল লাল ফৌজ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 14, 2022 | 7:31 AM

Arunachal Pradesh Clash: চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পরিকল্পনা ছিল প্রবল ঠাণ্ডার সুযোগ নিয়েই বরফ আবৃত ইয়াৎসে পোস্ট দখল করে নেওয়ার।

India-China Clash: ঝর্ণার পিছনে সিসিটিভি লাগানোর চেষ্টা, রাতের অন্ধকারে তাওয়াংয়ে কেন ঢুকছিল লাল ফৌজ?
তাওয়াং সীমান্তে নজরদারি। ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাপা উত্তেজনা থাকলেও, ১৯৬২ সালের পর অরুণাচল সীমান্ত টপকে ভারতীয় জমিতে প্রবেশের সাহস দেখায়নি লাল ফৌজ। কিন্তু গত ৯ ডিসেম্বরই সেই চিত্র বদলে যায়। রাতের অন্ধকারে তাওয়াংয়ে প্রবেশ করে প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। দিন কয়েক আগে থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সতর্ক ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীও। অনুপ্রবেশের কড়া জবাব দেয়, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষও হয়। বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। তবে প্রশ্ন উঠছে কী কারণে সংঘর্ষ হল ভারত-চিনের মধ্য়ে? কেনই বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন?

ভারতীয় সেনা সূত্রে চিনের অনুপ্রবেশের কারণ নিয়ে এখনও অবধি কোনও মন্তব্য না করা হলেও, সূত্রের খবর, অরুণাচলে বিগত কয়েক বছর ধরে পর্যটক ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের যাতায়াত বাড়াই চিনের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়েই রয়েছে তিব্বতী বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান ইয়াৎসে। এই জায়গা পর্যটকদের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই অবস্থিত এই ধর্মীয় স্থানে যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরকারের তরফে পরিকাঠামোর উন্নয়নও করা হয়। এরপরই চিনের ক্ষোভ বাড়ে। গত ৯ ডিসেম্বরের অনুপ্রবেশের অন্যতম কারণ এটাই, এমনটাই অনুমান।

সেনা সূত্রে খবর, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পরিকল্পনা ছিল প্রবল ঠাণ্ডার সুযোগ নিয়েই বরফ আবৃত ইয়াৎসে পোস্ট দখল করে নেওয়ার। ২০১৫ সাল অবধি এই অঞ্চলে শীতকালে কড়া নজরদারি না থাকলেও, বিগত কয়েক বছর ধরে চিনের আগ্রাসন নীতির কারণেই প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও সেনা মোতায়েন রাখা হচ্ছে সীমান্তে। ৯ ডিসেম্বরের রাতে চিনের ৩০০ সেনা যখন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, সেই সময় সীমান্তে এত সংখ্যক ভারতীয় সেনা যে উপস্থিত থাকবে, তা কল্পনা করতে পারেনি চিন। সূত্রের খবর, ইয়াৎসের কাছে অবস্থিত চুমি ঝর্ণার কাছে চিন সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রজেক্টর ও বড় স্ক্রিন লাগানোর চেষ্টা করেছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ইয়াৎসেতে চিন একটি বুদ্ধের মূর্তি ভাঙার পরই দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি খারাপ হয়। কয়েক বছর আগে তাওয়াংয়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিব্বতী ধর্মগুরু দলাই লামা। দলাই লামার সেই সফর নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। কেন্দ্রীয় সরকারও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লাগোয়া অরুণাচল প্রদেশের ওই অংশে রেল যোগাযোগের কথা ঘোষণার পরেও আপত্তি তুলেছিল চিন।

Next Article