Indian Air Force: অরুণাচল-অসমে বিমান ওড়ায় নিষেধাজ্ঞা, সতর্কতা জারি উত্তরবঙ্গের সেনাঘাঁটিতেও

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 14, 2022 | 6:39 AM

India China Clash: দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে সেনার শক্তি বাড়ানো হয়েছে। অরুণাচল ও অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নো ফ্লায়িং জোন ঘোষণা করেছে বায়ুসেনা।

Indian Air Force: অরুণাচল-অসমে বিমান ওড়ায় নিষেধাজ্ঞা, সতর্কতা জারি উত্তরবঙ্গের সেনাঘাঁটিতেও
আকাশপথে নজরদারি বাড়াচ্ছে বায়ুসেনা। ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: গালওয়ানের সংঘর্ষের (Galwan Clash) পরও শিক্ষা নেয়নি চিন (china)। ফের একবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অবস্থান বদলের চেষ্টা করেছে লাল ফৌজ। যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াং-এর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয় গত ৯ ডিসেম্বর। তারপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তাল। আপাতত সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চিন সংঘর্ষের পরই আকাশপথে টহলদারি শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। অরুণাচল প্রদেশে চিন যাতে কোনওভাবেই আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে, তার জন্যই কড়া নজরদারি। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, এক সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার সীমান্তে টহল দেবে ভারতীয় ফাইটার জেট।

তাওয়াং-এর নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের সংঘর্ষের পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই বৈঠকেই স্থলের পাশাপাশি আকাশ সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ৯ ডিসেম্বর সংঘর্ষ হলেও, এক সপ্তাহ আগেই তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে জড়ো হয়েছিল লাল ফৌজ। প্রায় ৩০০ চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে। এরপরে ৯ ডিসেম্বর চিনের সেনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারতীয় সেনাবাহিনী, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

অরুণাচল সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশ রুখে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। চিনের লাল ফৌজ পিছু হটলেও, ভারত যথেষ্ট সতর্ক। জানা গিয়েছে, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে সেনার শক্তি বাড়ানো হয়েছে। অরুণাচল ও অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নো ফ্লায়িং জোন ঘোষণা করেছে বায়ুসেনা। আগামী ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর এই নো ফ্লায়িং জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই দুই দিন রাফাল, সুখই ৩০ এবং তেজস লাইটের মতো যুদ্ধবিমান মহড়া হবে। মঙ্গলবার রাতেই শিলিগুড়ির হাসিমারা থেকে তেজপুর বিমান ঘাঁটিতে যায় রাফাল যুদ্ধবিমান।

বায়ু সেনা ও ভারতীয় সেনাবাহিনী দফায় দফায়  বৈঠকের পরই অসমের তেজপুর, উত্তরবঙ্গের হাসিমারা-সহ গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।

Next Article