পুদুচেরি: স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা বিশিষ্ট দার্শনিক ঋষি অরবিন্দের (Sri Aurobindo) ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ঋষি অরবিন্দর জীবন কাহিনীর সঙ্গে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর (Ek Bharat Shrest Bharat) তুলনা টানলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ কয়েন এবং স্ট্যাম্পও প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “ঋষি অরবিন্দর জীবন আদর্শ বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। ঋষি অরবিন্দের জীবন ও তাঁর কর্মকাণ্ড দেশের একতা এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন হিসেবেই ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতা সংগ্রামী -দার্শনিক অরবিন্দর আধুনিক চিন্তা, উন্নত চেতনা এবং আপোষহীন জাতীয়তাবাদ বিশ্ব আঙিনায় ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকাকে আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত করা উচিত বলেই মত নরেন্দ্র মোদীর।
কয়েন ও স্টাম্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত হল মানব সভ্যতার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ একটি ধারণা। মানবতার সবচেয়ে স্বাভাবিক কণ্ঠস্বর হল ভারত। আজ গোটা বিশ্ব যে সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সেগুলি মোকাবিলায় ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।” উল্লেখ্য, ঋষি অরবিন্দের জন্ম পশ্চিমবঙ্গে হলেও জীবনের একটি বড় সময় তিনি কাটিয়েছেন গুজরাট ও পুদুচেরিতে। ঋষি অরবিন্দ যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন বলে জানান মোদী। ভারতের মৌলিক দর্শন এবং দেশের উন্নয়নের জয়যাত্রার একটি ধারণা ঋষি অরবিন্দর জীবনগাঁথা থেকে পাওয়া যায় বলেই মত প্রধানমন্ত্রীর।
ঋষি অরবিন্দর পাশাপাশি স্বামী বিবেকানন্দ এবং মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গও উঠে আসে এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথায়। বললেন, “শ্রী অরবিন্দ, স্বামী বিবেকানন্দ এবং মহাত্মা গান্ধী হলেন সেই তিনজন ব্যক্তিত্ব, যাঁদের জীবন দর্শন এবং অবদান দেশ ও জাতির ভাগ্যকে রূপ দিয়েছিল।” ঋষি অরবিন্দ ব্রিটেন থেকে শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ হয়ে ভারতে ফিরে এসেছিলেন। তিনি রামায়ণ, মহাভারত এবং উপনিষদ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেছিলেন। এদিন সেই সব কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।