বস্তি: বিধায়কের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। দলের কর্মীর দল তথা দলের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীদের জেতাতে নির্বাচনের সময় উদয়অস্ত পরিশ্রম করেন। প্রার্থী যা নির্দেশ দেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। তবে ভোটে একবার জিতে গেলেই কর্মীদের আর চিনতে পারেন না নেতা-মন্ত্রীরা। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। লড়ে ক্ষমতা থেকে বহু দূরে থাকলেও আগের থেকে অনেকেটাই উন্নতি করেছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সমাজবাদী পার্টি। ভোটের প্রচারে এসে সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ও নেতাদের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে বাক্যবাণে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ সহ বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতানেত্রীরা। আরও একবার তাদের অভিযোগ জোরাল হল। বস্তির সমাজবাদী পার্টি বিধায়ক মহেন্দ্র নাথ যাদবের বিরুদ্ধে বাহাদুরপুর ব্লকে দলের প্রধান রামকুমারকে নিজের বাড়িতে ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
১৮ মার্চ অভিযুক্ত বিধায়কের বাড়তি অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে রামকুমার ও তাঁর পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, পুলিশি অভিযানের সময় বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক। রামকুমারের শ্যালক ওমপ্রকাশ পুলিশের কাছে বিধায়কের বিরুদ্ধে তাঁর নিকট আত্মীয়কে আটকে রাখার অভিযোগ করেন। ২৩ জানুয়ারি ২০২১ থেকে রামকুমারকে আটকে রাখা হয়েছিল বলেই দাবি ওমপ্রকাশের।
ওমপ্রকাশের দাবি, ১৭ মার্চ বিধায়কের বাড়ি থেকে ফোন করে রামকুমার তাঁকে আটকে রাখার কথা জানান। তাঁকে যে বাড়ি থেকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না, সে কথাও জানান হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলকালীন রামকুমার যে বিধায়কের বাড়িতে রয়েছেন, সে কথা জানতে পারে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং দেখে শুধু ওই সপা কর্মীই নয়, তাঁর পরিবারকেও সেখানে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বস্তির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন অভিযুক্ত বিধায়ক ও সপা কর্মীর বয়ান রেকর্ডের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।