Jharkhand gangrape: স্বামীর সামনেই গণধর্ষণ স্প্যানিশ মহিলাকে! পাকিস্তান-বাংলাদেশ ঘুরে ঝাড়খণ্ডে থামল বাইকের চাকা
Jharkhand gangrape: শুক্রবার গভীর রাতে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় থমকে গিয়েছে তাঁদের যাত্রা। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই স্প্যানিশ মহিলা। শুধু ধর্ষণ নয়, একই সঙ্গে ওই বিদেশি দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে থাকা সমস্ত টাকা-পয়স ও অন্যান্য মালপত্র। ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুমকা জেলার হাঁসডিহা থানা এলাকার অন্তর্গত কুরুমাহাটে।
রাঁচি: এর আগে তাঁরা বাইক নিয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন। বাইকে গোটা এশিয়া ঘোরার পরিকল্পনা ছিল স্প্যানিশ দম্পতির। বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু, শুক্রবার গভীর রাতে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় থমকে গিয়েছে তাঁদের যাত্রা। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই স্প্যানিশ মহিলা। শুধু ধর্ষণ নয়, একই সঙ্গে ওই বিদেশি দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে থাকা সমস্ত টাকা-পয়স ও অন্যান্য মালপত্র। ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুমকা জেলার হাঁসডিহা থানা এলাকার অন্তর্গত কুরুমাহাটে। এই ঘটনায় মোট সাতজন জড়িত ছিল বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি চারজনকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে দাবি পুলিশের।
দুমকার পুলিশ সুপার, পিতাম্বর সিং খেরওয়ার জানিয়েছেন ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী দুজনেই বাইকার। অর্থাৎ, বাইক নিয়ে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান। ভারতে ট্যুরিস্ট ভিসায় এসেছিলেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের পর, ঝাড়খণ্ডের দুমকা হয়ে ভাগলপুর যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে নেপালে প্রবেশ করার কথা ছিল তাঁদের। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁরা কুরমাহাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার আগে কুঞ্জি গ্রামের কাছে পৌঁছেছিলেন। ঠিক করেছিলেন, সেখানেই রাতটা বিশ্রাম নেবেন। তাই সেখানে একটি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করেছিলেন। রাত এগারোটা নাগাদ, তাঁদের সেই তাঁবুতে হানা দিয়েছিল স্থানীয় কিছু যুবক। ওই মহিলাকে গণধর্ষণও করে তারা। দম্পতির সর্বস্ব লুঠ করে পালায়।
পরে রাতে হাঁসডিহা থানার পুলিশের এক টহলদার বাহিনী, প্রধান সড়কের উপর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে। প্রথমে বিদেশি দম্পতির ভাষা বুঝতে সমস্যায় পড়েছিল পুলিশ। গুগল ট্রান্সলেশন ব্যবহার করে পুলিশকে তারা পুরো ঘটনাটা বলেন। এরপরে তাঁদের সরিয়াহাটের এক কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসাধীন চলছে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা রাতেই হাসপাতালে আসেন। এসপি খেরওয়ার জানিয়েছেন, মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য এক বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে ঘটনাস্থলেই আছেন খেরওয়ার। মহিলার বিবৃতির ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, গ্রেফতার হওয়া যুবকদের একজন অপরাধ স্বীকার করেছে এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের সম্পর্কে তথ্যও জানিয়েছে।
এসপি খেরওয়ারের দাবি, ওই দম্পতি যে কুঞ্জ গ্রামে অস্থায়ী শিবির স্থাপন করছেন, সেই বিষয়ে পুলিশ বা প্রশাসনকে তাঁরা কোনও তথ্য জানাননি। তা জানানো হলে, এই ঘটনা সম্ভবত ঘটত না। এদিকে, ওই দম্পতির একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় ওই দম্পতি তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের বর্ণনা দিয়েছেন। এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই, রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার গোড্ডার বিজেপি বিধায়ক অমিত মন্ডল, রাজ্য বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন। রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, সাঁওতাল পরগনা বিভাগে অপ্রশিক্ষিত পুলিশ অফিসারদের মোতায়েন করছে চম্পাই সোরেন সরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বাবুলাল মারান্ডিও সরকারকে নিশানা করে বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ছে।