নয়া দিল্লি: রবিবারই ঝাড়খণ্ডের রাঁচি বিমানবন্দর থেকে পরিবারের সঙ্গে বিমানে ওঠার সময় বিশেষভাবে সক্ষম এক শিশুকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই গুরুতর অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। মন্ত্রকে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই সোমবার এই নিয়ে বিমান পরিবহণ সংস্থাকে কড়া বার্তা দিয়েছে। দেশের নামজাদা বিমান পরিবহণ সংস্থা ইন্ডিগোর কর্মীদের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে সক্ষম ওই শিশুকে বিমানে না উঠতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। টুইটারে ইন্ডিগোক হুঁশিয়ারি দিয়ে সিন্ধিয়া লিখেছেন, “এই ধরনের ব্যবহার কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। কোনও মানুষের সঙ্গেই এই আচরণ করা উচিৎ নয়। আমি নিজে এই বিষয়টির তদন্ত করছি। দোষ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিমান পরিবহণ নিয়ামক সংস্থা ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোর থেকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করেছে। ওই শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হয়েছিল। ঘটনা সম্পর্কে জেনে নেটনাগরিকরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।]
There is zero tolerance towards such behaviour. No human being should have to go through this! Investigating the matter by myself, post which appropriate action will be taken. https://t.co/GJkeQcQ9iW
— Jyotiraditya M. Scindia (@JM_Scindia) May 9, 2022
যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে বিবৃতি জারি করে বিমান সংস্থা ইন্ডিগো জানিয়েছিল, ওই শিশুটি অন্যান্য যাত্রীদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই কারণে তাঁকে উঠতে দেওয়া হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ৭ মে বিশেষভাবে সক্ষম ওই শিশু বিমানে উঠতে পারেনি, কারণ সে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। গ্রাউন্ড স্টাফরা বিমান ছাড়ার শেষ সময় অবধি তাঁর স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলেও, সে স্বাভাবিক হয়নি।” মণীশ গুপ্ত নামের এক সহযাত্রী এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন এবং তিনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘটনার বিবরণ লেখেন। ফেসবুকে লেখা মণীশের পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, ইন্ডিগো কর্মীরা অস্বাভাবিকভাবে ওই শিশুটির ওপর চিৎকার করেছিলেন। অন্যান্য যাত্রীরাও এই আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু সংস্থার কর্মীরা কোনও কথাই শোনেননি বলেই জানা গিয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল এবং পরের দিন সকালে তাঁরা নিজেদের গন্তব্যে উড়ে গিয়েছিলেন। খোদ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।