SSC Case: ‘১০-১৫ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি! গোটা প্রসেসই ভুল’, ফ্রেশ সিলেকশন প্রক্রিয়া চাইছেন বিকাশ
SSC Case in Supreme Court: নিয়োগ ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে তা বোঝাতে শীর্ষ আদালতে জোরদার সওয়াল করেন বিকাশ। তাঁর দাবি, ১০-১৫ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২২ হাজার জনের চাকরি চলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর শিটের সত্যতা অস্বীকার করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন।
নয়া দিল্লি: এসএসসি মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল শুনানি। প্রথমে রাজ্য, তারপর এসএসসি, পর্ষদ, চাকরিহারাদের আইনজীবী একে একে সওয়াল করেন আদালতে। তারপর বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। নিয়োগ ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে তা বোঝাতে শীর্ষ আদালতে জোরদার সওয়াল করেন বিকাশ। তাঁর দাবি, ১০-১৫ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২২ হাজার জনের চাকরি চলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর শিটের সত্যতা অস্বীকার করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন।
বিকাশের যুক্তি, যে সংস্থাকে ওএমআর-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই নাইসার এখন আর অস্তিত্ব নেই। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীর দাবি, ওএমআর থেকেই স্পষ্ট বিশাল দুর্নীতি হয়েছে। বিকাশ ভট্টাচার্যের যুক্তি শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘সিবিআই যদি নিজেই জানায় ৮ হাজার ৩২৪ বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাহলে গোটা প্যানেল বাতিলের কথা কেন বলছেন? এটা নিশ্চিত কিছু নিয়োগ দুর্নীতির জন্য হয়েছে।’
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সেক্ষেত্রে যুক্তি দেখান, গোটা প্রক্রিয়াটাই ভুল। ফ্রেশ সিলেকশন প্রক্রিয়ার দাবি জানান তিনি। প্রধাব বিচারপতি সে কথা শুনে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ হলে পুরো নিয়োগই তো বাতিল হয়ে যাবে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বিবেচনা করে দেখবেন। তার আগে আদালত কোনও শর্ত ছাড়া স্থগিতাদেশ দিতে আগ্রহী নয়। আগামী জুলাই মাসে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সব পক্ষকে নোটিস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত।