সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি মামলার শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসে। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য, কমিশন, পর্ষদ, চাকরিহারা আইনজীবী- প্রত্যেকেরই বক্তব্য শোনে আদালত। প্রথমে সওয়াল করছে রাজ্য। তবে যোগ্য-অযোগ্যদের বিচারে না দিয়ে সুপার নিউমেরিক পোস্ট অর্থাৎ অতিরিক্ত শূন্যপদের সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরুদ্ধেই সওয়াল করে রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য, সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরিই হয়নি, সেটা ভাবা হয়েছিল মাত্র। এদিকে, OMR শিটের স্ক্যানড কপি না রাখায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। যোগ্য -অযোগ্যদের বিচার কীভাবে সম্ভব, সেটাও আদালতে জানান কমিশন। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও রকমের নিঃশর্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া এখনও সম্ভব নয়। ১০ মিনিটের বিরতি নেয় আদালত। ফের এসে বসে ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব হলে পুরো প্যানেল বাতিল নয়। বেতন ফেরতের নির্দেশের ওপরেও অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
টাকা ফেরতের নির্দেশের উপরে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ করবে না। নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
বিরতির পর শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, নিঃশর্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর ১০ মিনিটের বিরতি। ১০ মিনিট বিরতির পর আবারও বসে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বড় সিদ্ধান্ত, পৃথকীকরণ সম্ভব হলে শুধু তাদেরই চাকরি বাতিল হওয়া উচিত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “নির্দেশ সরকারি কর্মচারীদের বিশাল প্রভাবিত করেছে। রাজ্য সরকার ও SSC কেউই বলতে পারছে না, ভবিষ্যতে আর অবৈধ ধরা পড়বে না। সিস্টেমেটিক ফ্রড ধরা পড়েছে। পৃথকীকরণ সম্ভব হলে পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করা অন্যায় হবে। পৃথকীকরণ কীভাবে হবে, তা স্থির করতে হবে।”
এবার আদালতে সওয়াল করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “প্রায় ২২ হাজার জনের চাকরি চলে গিয়েছে। CBI যে OMR শিট দিয়েছিল, সেটা কমিশন অস্বীকার করেনি। নাইসা-র এখন আর কোনও অস্তিত্বই নেই। OMR থেকে স্পষ্ট বিশাল দুর্নীতি হয়েছে।”
প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, “সিবিআই যদি নিজেই জানায় ৮ হাজার ৩২৪ বেআইনি নিয়োগ হয়েছে তাহলে গোটা প্যানেল কেন বাতিলের কথা কেন বলছেন? কিছু নিয়োগ নিশ্চিত দুর্নীতির জন্য হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা বিবেচনা করব। তার আগে আমরা কোনও শর্ত ছাড়া স্থগিতাদেশ দিতে আগ্রহী নয়।”
চাকরিহারাদের তরফে আইনজীবী সওয়াল করেন। সেখানে উঠে আসে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। চাকরিহারাদের আইনজীবী বলেন, “প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ তিনি ইন্টারভিউতে বলেছেন, তাঁকে রাজনীতিতে নামার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক।” তখন অবশ্য প্রধান বিচারপতি বলেন, “বোধ হয় আমরা মূল বিষয় থেকে সরে আসছি।”
বিরতির পর শুরু হল এসএসসি মামলার দ্বিতীয় দফার শুনানি। এবার সওয়াল করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী রঞ্জিত কুমার ও প্রতীক ধর। চাকরিহারাদের আইনজীবী সওয়াল করেন, চাকরির পাবলিক নোটিস জারি করে অংশ গ্রহণের কথা বলা হয়, আদৌ কি গ্রহণযোগ্য? এই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে এসএসসি। নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে গেলে আর নিয়োগকারী সংস্থার কিছু করার থাকে না। চাকরিহারাদের আইনজীবী সওয়াল করেন,
সিবিআই তিনটে রিপোর্ট দেয়। নাইসার ডকুমেন্ট একেবারেই সঠিক নয়। এটা আদৌ কি পঙ্কজ বানসালের সাক্ষর। একজন প্রাক্তন কর্মী কীভাবে সই করতে পারেন? প্রশ্ন করেন চাকরিহারাদের আইনজীবীর। তিনি আরও সওয়াল করেন, “মিরর ইমেজ রাখা ভালো। কিন্তু সেটা রাখতেই হবে আইনে এমন বলা হয়নি।”
চাকরিহারাদের তরফে সওয়াল করা হয়, “আমরা OMR বা প্যানেলের ২০১৮-২০১৯ এর মধ্যে নিযুক্ত করেছি। নবম দশমে পড়িয়েছি পাঁচ বছর। আমাদের বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ নেই। ১১,৬১০ এর মধ্যে OMR ৮১০ জনের।
পর্ষদের তরফ থেকে এদিন আদালতে জানানো হয়, আমরা শিক্ষক শিক্ষাকর্মী পাই। SSC যাঁদের সুপারিশ করে, তাঁদের আমরা নিয়োগ করি। ১৮ হাজার শিক্ষক শিক্ষাকর্মী হাইকোর্টের নির্দেশে প্রভাবিত হয়েছেন। ৬ ভাগের ১ ভাগ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী প্রভাবিত হাইকোর্টের রায়ে। যখন যোগ্য অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব, তখন শিক্ষার স্বার্থে আলাদা করা হোক। আদালতে সওয়াল করে পর্ষদ। পর্ষদ আরও বলে, চাকরিহারাদের মধ্যে ৬ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন অনেকে রয়েছেন। তাঁরা না থাকলে আমরা প্রধান শিক্ষক, সিনিয়র মাস্টারমশাই কোথা থেকে পাব?” পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য, “মাথা যন্ত্রণা হলে পুরো মাথা কেটে ফেলব না।”
কমিশন আদালতে সওয়াল করে, আমরা অযোগ্যদের আলাদা করতে চাই। যাঁদের OMR এর সঙ্গে নম্বর মিলছে না, তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছি না, প্যানেলের বাইরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের পাশেও দাঁড়াচ্ছি না, আমাদের রেকমেন্ডেশন ছাড়া যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের পাশেও দাঁড়াচ্ছি না। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের বিরোধিতা করে কমিশন আদালতে সওয়াল করে, আমরা শুধু অযোগ্যদের পৃথক করার কথা বলছি।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে কমিশন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করে। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার। তাঁদের হয়েই সওয়াল করে কমিশন। এসএসসি এদিন সুপ্রিম কোর্টে দায় স্বীকার করে জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়োগ হয়েছে। ফাঁকা OMR জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। র্যাঙ্ক জাম্প হয়েছে। তবে যাঁরা পড়িয়েছেন এতদিন, তাঁরা কেন বেতনের টাকা ফেরত দেবেন, সে প্রশ্নও তোলে কমিশন। পাশাপাশি যোগ্যদের পাশে দাঁড়িয়ে কমিশন বলে, যাঁরা এর সঙ্গে জড়িতও নন, তাঁদেরও চাকরি গিয়েছে।
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফ থেকে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল, প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের বিরোধিতা করা হয়। এদিন কমিশনের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, “আমাদের কাছে যা প্রমাণ এসেছে, তাতে নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে বলা হচ্ছে।” কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, দায়িত্ব নাইসাকে দেওয়া হয়েছিল। তখন সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন না। নাইসা দায়িত্ব নিলেও তারা কমিশনের ভিতরে কাজ করবে। কীভাবে তারা OMC বাইরে নিয়ে যাচ্ছে? নিয়োগকারী সংস্থাই আবার আরেক সংস্থাকে দায়িত্ব দিচ্ছে?”
কমিশনের তরফ থেকে তখন বলা হয়, “আমরা বিশ্বাস করেই দিয়েছি।” সিবিআই যে এসএসসি অফিসে কোনও OMR-এর স্ক্যানড কপি পায়নি, সেটিও এদিন কমিশন আদালতে উল্লেখ করে। এবং সিবিআই-এর এই বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে নেয় কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, কারণ স্ক্যানড কপি রাখার দায়িত্ব নাইসাকে দেওয়া হয়েছিল।
বিচারপতি আবারও প্রশ্ন করেন, “মিরর ইমেজ কেন থাকবে না? বোঝা গেল, OMR নষ্ট হতে পারে, কিন্তু স্ক্যনড কপি থাকবে না সার্ভারে? এটা কি নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে না?” কমিশনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ” কীভাবে আপনার কাছে কোনও স্ক্যান্ড কপি থাকবে না? পুরোটা আউট সোর্সকে কীভাবে দিতে পারেন?”
নিজের দায় স্বীকার করে কমিশনের তরফে আইনজীবী আবারও বলেন, “আমরা কিছু থেকে পালিয়ে যাচ্ছি না। স্বীকার করে নিয়েছি।” বিচারপতি বলেন, “তাহলে আপনারা এটা নিজেদের ডেটা বলতে পারেন না। সবার চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।” কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়, “যাঁদের প্যানেল বহির্ভূত চাকরি হয়েছে, তাঁদের আমরা পক্ষ নিচ্ছি না। কিন্তু ১৯ হাজার নিয়োগ হয় প্যানেলের মেয়াদ থাকা অবস্থায়। তাঁদের মেরিট লিস্টেই রাখা হয়।”
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, “মানুষের যদি পাবলিক এম্পপ্লয়মেন্টের উপরেই প্রশ্ন উঠে যায়, আর কী পড়ে থাকে? বাবা মায়েরা আজও গর্ব করে বলেন, সন্তান সরকারি চাকরি করে। কী আর হবে, যদি সেখানেই প্রশ্ন ওঠে?” কমিশনকে আবারও সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “আপনি এখনও কোন ডেটাই দেখাতে পারেননি।”
রাজ্য়ের তরফে আইনজীবী কউল বলেন, “এক্ষেত্রে দুটি বিষয় হতে পারে। এক, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী অবৈধ হয়ে যাবেন। দুই, তাঁরা প্রত্যেকেই সিবিআই তদন্তের আওতায় চলে আসবেন।” সুপার নিউমেরিক পোস্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এটাও বলে দিয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে সরকারি আধিকারিক, আমলাদেরও হেফাজতে নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে সিবিআই। এই বিষয়টি উল্লেখ করে এদিন আইনজীবী কউল আদালতে প্রশ্ন করেন, যদি তাই-ই হয়, তাহলে গোটা অর্থ দফতর, মন্ত্রিসভা, অ্যাডভোকেট জেনারেল সকলেই সিবিআই তদন্তের আওতায় পড়ে যাবেন। যেখানে অপরাধেরই কোনও প্রমাণ নেই, সেখানে সবাই কীভাবে তদন্তের আওতায় পড়তে পারেন? তাহলে তো সংসদীয় গণতন্ত্র কোথায় দাঁড়াবে? কউল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে মনে করিয়ে দেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, এভাবে কি কোনও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে?’ কউল আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে, ‘যদি একটা কলমের খোঁচায় সব বাতিল করে দেওয়া হয়, তাহলে শিক্ষক-পড়ুয়ার অনুপাত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?’
রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে আরও সওয়াল করা হয়, এই অতিরিক্ত শূন্যপদে আদৌ একটিও মাত্র নিয়োগ হয়নি, তাহলে সেটি বেআইনি কীভাবে হয়? রাজ্যের তরফে আইনজীবী এনকে কউল আদালতে সংবিধানের ২৬৫ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেন। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে মন্ত্রিসভায় একটি আলোচনা হয়েছিল, আর সে ক্ষেত্রেই অনুমতির প্রয়োজন ছিল। বিচারব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। যেহেতু এই শূন্যপদে কোনও নিয়োগই হয়নি, তাই এক্ষেত্রে সংবিধান এড়ানোর কোনও প্রশ্নই উঠছে না।
রাজ্যের তরফে দ্বিবেদী সুপাক নিউমেরিক পোস্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়েও সওয়াল করেন। তিনি বলেন, যেখানে এই শূন্যপদ তৈরির করার পিছনে কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না, সেই কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ? তখন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, হাইকোর্ট কি কোনও অপরাধ খুঁজে পেয়েছে? রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘না’
শুনানির শুরুতেই রাজ্যের তরফে সুপার নিউমেরিক পোস্ট নিয়ে সওয়াল করা হয়। রাজ্যের তরফে রাকেশ দ্বিবেদী সওয়াল করেন, এই অতিরিক্ত শূন্যপদ রাজ্যের তরফে তৈরি করা হয়েছিল, কেবল ‘ওয়েটিং লিস্টে’ থাকা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্যই। তিনি জানান, ৬৮৬১ টি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে অযোগ্যদের ঢোকানোর কোনও প্রশ্নই উঠছে না।
সুুপ্রিম কোর্টে প্রথম বক্তব্য পেশ করছে রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য, কে যোগ্য, কে অযোগ্য- সেই বিতর্কে আমরা যাচ্ছি না। সেটি কমিশনের দেখার বিষয়। তবে রাজ্যের তরফে সুপার নিউমেরিক পোস্ট নিয়ে সওয়াল করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এই অতিরিক্ত শূন্যপদ অবৈধ। হাইকোর্টের নির্দেশেই সুপার নিউমেরিক পোস্টের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে সিবিআই। সেই তদন্ত যাতে বন্ধ করা যায়, তার হয়ে সওয়াল করছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে ক্যান্সার আক্রান্ত সোমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ তাঁকে এই সুপার নিউমেরিক পোস্ট থেকেই চাকরি দেওয়া হয়েছে। তবে এই অতিরিক্ত শূন্যপদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বিষয়টিও রাজ্যের তরফ থেকে এদিন উল্লেখ করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, যেহেতু আসল OMR শিট নষ্ট হয়েছে, তার স্ক্যানড কপিও সিস্টেমে রাখা হয়নি, সেক্ষেত্রে কি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বাছাই করা সম্ভব? এসএসসি-র তরফ থেকে সে সময়ে জানানো হয়েছিল, তালিকা আলাদা করে দেওয়া সম্ভব।
২০১৬-র চাকরি বাতিল মামলায় যোগ্য-অযোগ্য ফারাক বোঝাতে সুপ্রিম কোর্টে আপাতত পরিসংখ্যান পেশ করতে পারে SSC। সংখ্যাতত্ত্ব দিয়েই যোগ্য অযোগ্যের ফারাক বোঝাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সূত্রের খবর, পরে সুপ্রিম কোর্ট চাইলে তালিকা পেশ করা হবে। আপাতত সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা জমা না পড়ার সম্ভাবনা।
সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সোমবার অনেকগুলি মামলা থাকায় প্রধান বিচারপতি আর মামলা শোনেননি। তাঁর বক্তব্য, অত্যন্ত সময় নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। সেই কারণেই শুনানি পিছিয়ে মঙ্গলবারের সময় দেওয়া হয়।
এসএসসি চাকরি বাতিল সংক্রান্ত সব মামলা একসঙ্গে শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির এজলাসে নতুন মামলা একসঙ্গে শোনার আর্জি জানানো হয়। এসএসসি সংক্রান্ত সব মামলা একসঙ্গে শুনতে সম্মত হয়েছেন প্রধান বিচারপতি।