AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSC Case: ‘এটা কি আপনাদের দায়িত্বশীল কাজ?’ ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা খেতেই যোগ্যদের বিচার কীভাবে, তা আদালতে জানাল কমিশন

SSC Case: বিচারপতি আবারও প্রশ্ন করেন,  "মিরর ইমেজ কেন থাকবে না? বোঝা গেল, OMR নষ্ট হতে পারে, কিন্তু স্ক্যনড কপি থাকবে না সার্ভারে? এটা কি নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে না?" কমিশনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, " কীভাবে আপনার কাছে কোনও স্ক্যান্ড কপি থাকবে না? পুরোটা আউট সোর্সকে কীভাবে দিতে পারেন?"

SSC Case: 'এটা কি আপনাদের দায়িত্বশীল কাজ?' 'সুপ্রিম' ধাক্কা খেতেই যোগ্যদের বিচার কীভাবে, তা আদালতে জানাল কমিশন
OMR শিট কড়া প্রশ্নের মুখে কমিশনImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 07, 2024 | 3:23 PM
Share

নয়া দিল্লি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের মুখেও যে প্রশ্নে তীব্র ভর্ৎসিত হয়েছিল কমিশন, সেই একই প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টেও চাপে পড়ল কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে কমিশন জানিয়েছে, চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে? কারণ OMR শিটের তো কোনও স্ক্যানড কপিই রাখা হয়নি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এসএসসি মামলার শুনানি হয়। সেখানে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশের শীর্ষ আদালত।

এদিন কমিশনের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, “আমাদের কাছে যা প্রমাণ এসেছে, তাতে নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে বলা হচ্ছে।” কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, ওএমআর শিট স্ক্যানিং করার জন্য নাইসাকে টেন্ডার ডেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে এটা স্পষ্ট হয়েছে, কমিশনের সিস্টেমে OMR-এর কোনও স্ক্যানড কপি খুঁজে পায়নি সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন।  প্রধান বিচারপতি কমিশনের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন না। নাইসা দায়িত্ব নিলেও তারা কমিশনের ভিতরে কাজ করবে। কীভাবে তারা OMR বাইরে নিয়ে যাচ্ছে? নিয়োগকারী সংস্থাই আবার আরেক সংস্থাকে দায়িত্ব দিচ্ছে?”

কমিশনের তরফ থেকে তখন বলা হয়, “আমরা বিশ্বাস করেই দিয়েছি।” সিবিআই যে এসএসসি অফিসে কোনও OMR-এর স্ক্যানড কপি পায়নি, সেটিও এদিন কমিশন আদালতে উল্লেখ করে। এবং সিবিআই-এর এই বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে নেয় কমিশন।  কমিশনের বক্তব্য,  কারণ স্ক্যানড কপি রাখার দায়িত্ব নাইসাকে দেওয়া হয়েছিল।

বিচারপতি আবারও প্রশ্ন করেন,  “মিরর ইমেজ কেন থাকবে না? বোঝা গেল, OMR নষ্ট হতে পারে, কিন্তু স্ক্যনড কপি থাকবে না সার্ভারে? এটা কি নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে না?” কমিশনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ” কীভাবে আপনার কাছে কোনও স্ক্যান্ড কপি থাকবে না? পুরোটা আউট সোর্সকে কীভাবে দিতে পারেন?”

আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে  নেয় কমিশন। কমিশনের তরফে আইনজীবী আবারও বলেন, “আমরা কিছু থেকে পালিয়ে যাচ্ছি না। স্বীকার করে নিয়েছি।”  বিচারপতি বলেন, “তাহলে আপনারা এটা নিজেদের ডেটা বলতে পারেন না। সবার চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।” আদালত প্রশ্ন করে, “এটা কি আপনাদের দায়িত্বশীল কাজ? টেন্ডারের জন্য কত জনকে ডেকেছিলেন? আপনারা সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। অথচ যথাযথ ভাবে টেন্ডার ডাকেননি কেন?’’   কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়,  “যাঁদের প্যানেল বহির্ভূত চাকরি হয়েছে, তাঁদের  আমরা পক্ষ নিচ্ছি না।  কিন্তু ১৯ হাজার নিয়োগ হয় প্যানেলের মেয়াদ থাকা অবস্থায়। তাঁদের মেরিট লিস্টেই রাখা হয়।”

অর্থাৎ যে জায়গাতে হাইকোর্টে  ধাক্কা খেয়েছিল কমিশন, ঠিক সেই বিষয়টিতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে সুপ্রিম কোর্টেও। কিন্তু এক্ষেত্রে কমিশনের শীর্ষ আদালতে মাথা পেতে দায় স্বীকার করে নিয়েছে। তবে কমিশন আদালতে জানিয়েছে, ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পাওয়া যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা যাবে। কমিশনের যুক্তি, ‘‘সিবিআইয়ের তথ্যের উপর ভরসা করা গেলে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করা সম্ভব। আমাদের সার্ভার থেকে যে সব ওএমআর ডাটা মিলছে না সেগুলিও আলাদা করা যাবে।’’