মুম্বই: দেশের বিভিন্ন শহরে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা (COVID) গ্রাফ। করোনা সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নাগপুর ও পুণে, ঔরঙ্গাবাদ-সহ বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে। এ ছাড়াও মিরা ভয়ন্দর পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় জারি করতে হয়েছে লকডাউন। হটস্পট নির্ধারণ করে মিরা ভয়ন্দর পুরসভার বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন জারি হয়েছে।
এর আগে নাগপুরে কড়া লকডাউন জারি করেছিল ঠাকরে প্রশাসন। নাগপুরে লকডাউনেক পরও করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। তাই জলগাঁওতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন জারি হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদে প্রতি সপ্তাহান্তে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হয়েছে। নাগপুরে ১৫ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন, সেখানে এই ৭ দিন স্রেফ অত্যাবশ্যক পণ্য মিলবে এবং ২৫ শতাংশ সরকারি অফিস খুলবে। পুণেতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ বন্ধ করতে হয়েছে, জারি হয়েছে নৈশ কার্ফু। অকোলাতে প্রতি শুক্রবার সন্ধেয় ৮ টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত লকডাউন জারি হয়েছে। নাসিকে প্রতিদিন সন্ধেয়তে নৈশ কার্ফুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ওসমানাবাদেও সন্ধেয় ৯টা থেকে ভোট ৫টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু জারি হয়েছে।
নাগপুরে লকডাউন জারি হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা বিশেষজ্ঞ দলের অন্যতম প্রধান তথা নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্রের করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কেন্দ্র। গত বৃহস্পতিবার সকলের কাছে ভাইরাসের বিষয়ে উদাসীন না হতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেছিলেন, “আমরা জানতে পেরেছি নাগপুরে কড়া লকডাউন কায়েম হয়েছে। অর্থাৎ আমরা সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি যেখানে আমাদের আবার এই ধরনের পথে ফিরতে হতে পারে।” তিনি এ-ও জানান, মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় আছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের ১০টি শহর, যেখানে করোনা সংক্রমণ অত্যন্ত বেশি, তার মধ্যে ৮টি শহরই মহারাষ্ট্রে। করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে পুণে, নাগপুর, থানে, মুম্বই, অমরাবতী, জলগাঁও, নাসিক ও ঔরঙ্গাবাদে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮১৭ জন, প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ জন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ১০০ কোটি ডোজ়! ভারতে টাকা ঢালতে প্রস্তুত আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়া