লক্ষ্য ১০০ কোটি ডোজ়! ভারতে টাকা ঢালতে প্রস্তুত আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বের একাধিক দেশে টিকা পাঠিয়েছে ভারত। সেই টিকার জন্য প্রশংসা এসেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও।

লক্ষ্য ১০০ কোটি ডোজ়! ভারতে টাকা ঢালতে প্রস্তুত আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়া
গ্রাফিক্স- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Updated on: Mar 13, 2021 | 12:00 PM

নয়া দিল্লি: করোনা টিকার বাজার ধরতে জোর লড়াই। টিকার (COVID Vaccine) ব্যবসায় বিশ্ব বাজারে অনেক এগিয়ে ভারত। চিন সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে বাজারে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার। তাই চিনের আগ্রাসী মনোভাব রুখতে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হল কোয়াড বৈঠকে। ভারত-প্রশান্ত মহাাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং শান্ত প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিশ্চয়তার জন্য গড়ে উঠেছে কোয়াড। কোয়াডে সদস্য পদ রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও আমেরিকার। কোয়াডের এই বৈঠক ছিল বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম বৈঠক। সেখানে ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি ডোজ় তৈরির জন্য ভারতে লগ্নির কথা জানিয়েছে আমেরিকা ও বাকি দেশগুলি।

বিশ্বের একাধিক দেশে টিকা পাঠিয়েছে ভারত। সেই টিকার জন্য প্রশংসা এসেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও। খোদ রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান অ্যান্টনিও গুত্তারেস ও হু প্রধান টেডরস আধানম টুইট করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রশংসা করেছেন। কোভ্যাক্স, গাভি-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিশ্বের একাধিক দেশে উপহার ও ব্যবসায়িক ভাবে করোনা টিকা পৌঁছে দিয়েছে ভারত। তাই ভারতের এই উর্ধ্বগমন বজায় রাখতে কোয়াডের প্রত্যেকটি দেশই নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে।

কোয়াডের বৈঠকে স্থির হয়েছে ২০২২ সালের মধ্যে ১০০ কোটি ডোজ়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবে ভারত। দেশে এখন দু’টি করোনা প্রতিষেধকে অনুমোদন দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রায় ৬৫টিরও বেশি দেশে পৌঁছেছে। সেই মতো ভারতের টিকা উৎপাদনের পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করতে চাইছে কোয়াড দেশগুলি। মূলত চিনের করোনা টিকা নিয়ে কূটনীতি রোখার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছে কোয়াড। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। কোয়াডের বৈঠকে টিকা ছাড়াও আলোচনা হয়েছে আবহওয়ার পরিবর্তন, শান্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের বিষয়ে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে গড়ে উঠেছিল কোয়াড। চিনের আগ্রাসন ও নিজেদের মধ্যে কৌশলগত আদানপ্রদান বৃদ্ধিই ছিল কোয়াডের মূল উদ্দেশ্য। একাধিকবার কোয়াডের বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্প আমলে মালাবার উপকূলে নৌ-মহড়াও চালিয়েছিল কোয়াড দেশগুলি। তবে করোনা টিকার বাজার দখলের দাপাদাপির মাঝে কোয়াডের এই বৈঠক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: করোনা টিকা নিয়ে কোয়াড বৈঠকে মোদী-বাইডেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধই আমাদের একত্রে বেঁধে রেখেছে, বললেন প্রধানমন্ত্রী