মুম্বই: মুম্বইয়ের করোনা পরিস্থিতি (COVID 19 Situation in Mumbai) ক্রমেই জটিল আকার নিচ্ছে। সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, মুম্বই শহরে ৭ হাজার ৯২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কড়া সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে মুম্বই পুরসংস্থা। প্রয়োজনে লকডাউনের মতোকঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রধান ইকবাল সিং চহাল জানিয়েছেন, বাণিজ্য নগরীতে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের ঊর্ধ্বে উঠে গেলে এই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দৈনিক আক্রান্তের ৮০ শতাংশই ওমিক্রন স্ট্রেন। .
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে আরও কঠোর লকডাউনের মতো বিধিনিষেধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকে বেশ কিছু ইস্যু উঠে এসেছিল বিধিনিষেধ বা কঠোর আংশিক লকডাউন জারি করার ক্ষেত্রে মানদণ্ড কী হতে পারে। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে কতগুলি বেড খালি রয়েছে, রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদার মতো বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সব মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের বিধিনিষেধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ইকবাল সিং চহাল। তিনি আরও জানিয়েছেন, মুম্বই শহরে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার বেড খালি রয়েছে।
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রধান জানিয়েছেন, “এমনকী যদি প্রতিদিন ১০ হাজার বেডে রোগী ভর্তি করা হয়, সেক্ষেত্রেও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।” সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “কিন্তু যদি দেখা যায় জিনিসগুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে যদি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায়, তাহলে আমাদের আরও কঠোর লকডাউনের মতো বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।”
তাঁর কথায়, “এখনও আমরা বিশ্বাস করি যে এমনকী দিনে ২০ হাজার পর্যন্ত আক্রান্ত হলেও, আমাদের হাসপাতালে সেই পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। আমরা সেই পরিমাণে অক্সিজেন দিতেও সমস্যায় পড়ব না।”
দেশের করোনা পরিস্থিতি যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তখন মুম্বই পুর সংস্থার তরফে এই কঠোর সিদ্ধান্তের পথে হাঁটার বার্তা। ইকবাল জানিয়েছেন, “আমি রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি… তাদের মতামত হল ওমিক্রন এখন ৮০ শতাংশ (কোভিডের ক্ষেত্রে)… এবং এই ৮০ শতাংশও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৯০ শতাংশ স্পর্শ করবে। হয়ত আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যেই তা ৯০ শতাংশের গণ্ডি স্পর্শ করতে পারে।”
অতিমারি ভারতে আঘাত হানার পর থেকে মহারাষ্ট্রে ৬৭ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা এখনও পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে সংক্রমণে কিছুটা লাগাম পড়ানো গেলেও ফের মহারাষ্ট্রে, বিশেষ করে মুম্বইতে কোভিডে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ বাড়ছে।