নয়া দিল্লি: কয়েকদিন আগেই মিলেছিল মাঙ্কি পক্সে (Monkeypox) আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তির খোঁজ। ইতিমধ্যেই মিলেছে দ্বিতীয় আক্রান্তের খোঁজও। তাতেই বেড়েছে উদ্বেগ। এদিকে মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়তে চাইছে কেন্দ্র। ফাঁকি রাখতে চাইছে না প্রতিরোধ ব্যবস্থায়। সে কারণেই এবার সমস্ত বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দরে বিদেশ থেকে আগাত যাত্রীদের উপর নজরদারির উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে যাতে অন্যদের মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব যাতে সহজে ছড়াতে না পারে সে জন্যই বন্দরগুলিতে স্ক্রিনিংয়ে বিশেষ জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র (Central Government)। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিকে এ নির্দেশিকা দেখে অনেকেই বলছেন এ যেন ফিরে এল করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুর সময়ের দুর্বিষহ স্মৃতি। ২০২০ সালের শুরুতে যখন প্রথমবার দেশের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল করোনা জোয়ার তখনও বিদেশি যাত্রীদের হাত ধরে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এ ভাবে বন্দরগুলিতে স্ক্রিনিংয়ে জোর দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এবার যেন সেই স্মৃতিই ফিরে এল মাঙ্কি পক্সের হাত ধরে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেরলে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তির খোঁজ মেলে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় যে ব্যক্তি আক্রান্ত হন তিনি কেরলের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি কন্নৌর জেলার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। কেরলে পারিয়ারাম মেডিক্যাল কলেজে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
নয়া নির্দেশিকার কথা জানিয়েও একটি বিবৃতিও জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। দেশের সমস্ত এয়ারপোর্ট ও সমুদ্র বন্দরের আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে সেই নির্দেশিকা। এদিকে মাঙ্কি পক্সের বাড়বাড়ন্তের জেরে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। বিশ্বব্যাপী এই রোগের প্রাদুর্ভাব কতটা ছড়িয়েছে, আগামীতে এর প্রাদুর্ভাব ছেকাতে কী কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে ২১ তারিখ হু-র একটি এক্সপার্ট কমিটির বৈঠকও বসছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সূত্র মতে, পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যাঁরা মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের সিংহভাগই মধ্যবয়সী পুরুষ।