Student Death: পড়াশোনায় দুর্দান্ত, IIT-র স্বপ্নও পূরণ করেছিল সৌরভ, রবিবার জন্মদিনের আগেই রাত ১১টা ৫৫-তে একটা চরম পদক্ষেপ, তাতেই সব শেষ…

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 31, 2025 | 1:23 PM

Student Death: পড়ুয়ার মা জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে নিয়মিত কথা হত তাঁর। যেহেতু কথা বলতে পারত না রাহুল, তাই ভিডিয়োকলেই তাদের যাবতীয় বার্তালাপ হত সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে। হস্টেলে কোনও ভাল খাবার খেলেও সে মেসেজ করে জানাত।

Student Death: পড়াশোনায় দুর্দান্ত, IIT-র স্বপ্নও পূরণ করেছিল সৌরভ, রবিবার জন্মদিনের আগেই রাত ১১টা ৫৫-তে একটা চরম পদক্ষেপ, তাতেই সব শেষ...
আত্মঘাতী পড়ুয়া।
Image Credit source: X

Follow Us

লখনউ: আবারও এক মেধাবী পড়ুয়া মৃত্যু। তাও আবার জন্মদিনের আগের দিন! একদিন পরই ২১ বছরে পা দেওয়ার কথা ছিল আইআইটি এলাহাবাদের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া রাহুল মাদালা চৈতন্যের। কিন্তু বাড়িতে শেষ একটা মেসেজ পাঠিয়েই হস্টেলের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে দিল পড়ুয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছিল রাহুল। সে কথা বলতে পারত না। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতা কখনও তাঁর মেধায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি। অত্যন্ত মেধাবী পড়ুয়া ছিল সে। জেইই মেইন (JEE Main)-র পরীক্ষায় ৫২ র‌্যাঙ্ক করেছিল। তাঁর বাড়ি তেলঙ্গানায়।

রবিবার জন্মদিন ছিল রাহুলের। কিন্তু শনিবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সে হস্টেলের পাঁচতলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। যুবকের লেখা কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না গেলেও, তাঁর মাকে পাঠানো শেষ মেসেজ দেখেই মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছে যুবক। মাকে পাঠানো শেষ মেসেজে সে লিখেছিল, ‘ভাইকে ও বাবাকে তুমি দেখে রেখো’।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর  জানিয়েছে, ওই যুবক একটি পরীক্ষায় ফেল করেছিল। সেই ঘটনাকে নিয়েই অত্যন্ত দুঃখী ও মানসিকভাবে বিচলিত ছিল। ইতিমধ্যেই আইআইটি এলাহাবাদের তরফেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, পড়ুয়ার মা জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে নিয়মিত কথা হত তাঁর। যেহেতু কথা বলতে পারত না রাহুল, তাই ভিডিয়োকলেই তাদের যাবতীয় বার্তালাপ হত সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে। হস্টেলে কোনও ভাল খাবার খেলেও সে মেসেজ করে জানাত। সারাদিন পড়াশোনা নিয়েই থাকত, বাইরে বেরতে খুব একটা ভালবাসত না সে।

ঘটনার দিন অর্থাৎ শনিবার ছেলের ওই মেসেজ দেখেই তিনি ভয় পেয়ে যান। রাহুলের এক বন্ধুকে ফোন করে তাঁর খবর জানতে চান। ওই যুবক তাঁর এক বন্ধুকে রাহুলের খোঁজ নিতে বলে। এরপরই হঠাৎ ফোন কেটে যায়। ফের ফোন করলে ওপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, রাহুল পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপরই তাঁরা তড়িঘড়ি তেলঙ্গানা থেকে প্রয়াগরাজে ছুটে আসেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

কলেজ কর্তৃপক্ষের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃত পড়ুয়ার মা। তাঁর অভিযোগ, কলেজের তরফে এখন বলা হচ্ছে যে বিগত ৬ মাস ধরে রাহুল ক্লাস করেনি। তাহলে এতদিন কেন বাড়িতে সেই কথা জানানো হয়নি?